তোমাকে তোমার দেশে গিয়ে হারাব, হাথুরুকে বলেছিলেন তামিম

চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে তামিম ইকবাল। এএফপি ফাইল ছবি
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে তামিম ইকবাল। এএফপি ফাইল ছবি

ইনস্টাগ্রাম ‘লাইভে’ কত অজানা গল্পই জানাচ্ছেন তামিম ইকবাল। কাল মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে লাইভে এসে যেমন বললেন, ২০১৮ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফির আগের একটি গল্প।

২০১৮ সালের শুরুতে বাংলাদেশ দেশের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—তিনটি সিরিজই। সিরিজ তো বাংলাদেশ কতই হেরেছে। কিন্তু এই সিরিজটা হারের পর তামিম-মুশফিকদের অনেক কথা শুনতে হয়। কারণ, ২০১৮ সালের শুরুতে হওয়া বাংলাদেশ সফর দিয়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কার কোচ হিসেবে শুরু।

তিন বছর বাংলাদেশ দলে কাজ করে গেছেন বলে তামিমদের আদ্যোপান্ত সব জানা হাথুরুর। সেটিই তিনি সফলভাবে কাজে লাগিয়েছেন বলে কথাও উঠেছিল তখন। বাংলাদশে দলের খেলোয়াড়দের তা নীরবে হজম করা ছাড়া কিছু করারও ছিল না।

কাল তামিম জানালেন, ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হারের পরের দিন টিম হোটেলে হাথুরুর সঙ্গে তাঁর দেখার পর মুচকি হেসেছিলেন শ্রীলঙ্কান কোচ। হাসিটা যেন শেল হয়ে বিঁধেছিল বাঁহাতি ওপেনারের বুকে! হাসির উত্তরে হাথুরুকে তামিম বলেছিলেন, ‘হাথুরুকে গিয়ে বলেছি, এত হেসো না। তোমাদের দেশে এসে তোমাদের হারাব। নিদাহাস ট্রফিতে আমরা দুর্দান্ত খেলেছিলাম।'

নিদাহাস ট্রফিটা নানা কারণে স্মরণীয় হয়ে আছে বাংলাদেশের কাছে। প্রথম আলো ফাইল ছবি
নিদাহাস ট্রফিটা নানা কারণে স্মরণীয় হয়ে আছে বাংলাদেশের কাছে। প্রথম আলো ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ওই সিরিজে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল দুবারই। হাথুরুর শ্রীলঙ্কাকে দর্শক বানিয়ে ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলেছিলেন তামিমরা। শ্রীলঙ্কানদের বিপক্ষে পাওয়া দুটি জয়ই ছিল বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের অন্যতম সেরা দুই জয়। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ছড়িয়েছিল উত্তাপ। 'নো' বল হওয়া না–হওয়া নিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যানকে মাঠ ছেড়ে আসতে বলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগুনে ম্যাচে শেষ ২ বলে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৬ রান। শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে ছক্কা মেরে মাহমুদউল্লাহ জিতিয়ে দেন বাংলাদেশকে।

সব মিলিয়ে নিদাহাস ট্রফিটা এখনো অন্যতম সেরা সিরিজ হয়ে আছে তামিমের কাছে, ‘আপনার (মাহমুদউল্লাহ) অধীনে আমরা নিদাহাস ট্রফি খেলেছি। যত দিন জাতীয় দলে খেলছি, আমার খেলা সবচেয়ে আনন্দদায়ক টুর্নামেন্ট এটা। কয়েকটা টুর্নামেন্টের মধ্যে নিদাহাস ট্রফিটা আমি খুব উপভোগ করেছি।’