ফুটবলে প্রাণ ফিরবে এ মাসেই

জার্মানির ফুটবল এভাবে আবার ফিরে আসবে উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি
জার্মানির ফুটবল এভাবে আবার ফিরে আসবে উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি
>জার্মান ক্রীড়ামন্ত্রীর আশ্বাস মে মাসেই শুরু হবে বুন্দেসলিগা

করোনাভাইরাস মহামারির বাধা পেরিয়ে বিশ্ব আবার স্বাভাবিক হবে। ফুটবলও নিশ্চয়ই ঘরবন্দী হয়ে থাকবে না। শঙ্কা নিয়েই তাই আবার মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন দেশের লিগ।

সবার আগে মাঠে ফেরার ঘোষণা দেয় জার্মানির বুন্দেসলিগা। আগামী ৯ মে খেলা শুরুর আশার কথা শুনিয়েছিল বুন্দেসলিগা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এটা বুঝি ভালো লাগেনি করোনাভাইরাসের! তাই তো অনুশীলন শুরু করতে না করতেই এফসি কোলনের তিন সদস্য প্রমাণিত হন করোনা পজিটিভ। ফুটবল মহলে হাহাকার—আবার হয়তো পিছিয়ে গেল মাঠে ফেরা!

তবে জার্মানির ক্রীড়ামন্ত্রীর ঘোষণায় এই হাহাকার কাটিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মনে হয়তো আবার আশার আলো উঁকি দেবে। চলতি মে মাসেই আবারও মাঠে গড়াবে বুন্দেসলিগা—ক্রীড়ামন্ত্রী হর্স্ট সিহফের যা বলেছেন, তার মর্মার্থ এটাই। সিহফের কথা, ‌'জার্মান লিগের সম্ভাব্য শুরুর সূচিটা আমি পেয়েছি। আমি মে মাসে লিগ শুরুর বিষয়টি সমর্থন করি।'
লিগ শুরুর ব্যাপারে আগামী পরশু জার্মান সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা। এর আগে ক্রীড়ামন্ত্রী এমন কথা লিগ শুরু করতে সরকারের সবুজ সংকেতেরই ইঙ্গিত দেয়। লিগ আবার শুরু হলেও দলগুলোকে সরকারের দেওয়া কিছু স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এই যেমন লিগ চলাকালে কোনো দলের একজন সদস্যও করোনা পজিটিভ প্রমাণিত হলে সেই দল এবং যাঁদের বিপক্ষে তাঁরা সর্বশেষ ম্যাচটি খেলবে, তাঁদের সবাইকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

করোনার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে শিগগিরই আবার লিগ শুরুর কথা ভাবছে ইতালির সিরি ‌'আ' এবং স্পেনের লা লিগা কর্তৃপক্ষ। লা লিগায় লিওনেল মেসি-সার্জিও রামোসরা এখনো অবশ্য অনুশীলনে ফেরেননি। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে সীমিত আকারে অনুশীলনে ফেরার সরকারি অনুমতি পেয়েছে ইতালির ক্লাবগুলো।

অনুশীলনে ফেরার অনুমতি দিলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিওসেপ্পে কোন্তে কিছু বিধি–নিষেধও আরোপ করে দিয়েছেন। অনুশীলন মাঠে এক সঙ্গে ছয়জনের বেশি খেলোয়াড় থাকতে পারবেন না। আর অবশ্যই তাঁদের নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অনুশীলনের আগে বা পরে খেলোয়াড়দের কেউ ড্রেসিংরুম ব্যবহার করতে পারবেন না। অনুশীলনের সময় মাঠে থাকতে পারবেন না কোচিং স্টাফের কেউ। এ সবই করা হয়েছে করোনার সংক্রমণ এড়ানোর জন্য।

ইউরোপে করোনার প্রভাব কিছুটা কমলেও পুরোপুরি নির্মূল হয়ে যায়নি। সংক্রমণের শঙ্কা এখনো রয়ে গেছে। এর মধ্যেই অনুশীলনে ও খেলার মাঠে নানা বিধিনিষেধ আর সতর্কতার মাধ্যমে চেষ্টা চলছে ফুটবলে আবার প্রাণসঞ্চারের।