'বল পায়ে শৈশবে ফিরে যান' - সাফের আড্ডায় জামাল ভূঁইয়া

বাংলাদেশ জাতীয় দলের মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া। সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশ জাতীয় দলের মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া। সংগৃহীত ছবি

করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে সারা বিশ্বের খেলোয়াড়েরা মেতে উঠেছেন ভার্চুয়াল জগতে 'লাইভে' আড্ডা দিতে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলাররা এক হয়েছিলেন আজ বিকেলে। ফেসবুক লাইভে এসে প্রাণবন্ত আড্ডা দিলেন সাফের সাত দেশের ফুটবলাররা। লকডাউন শুরু হতেই ডেনমার্কে বাবা মায়ের কাছে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। সেখান থেকেই আড্ডায় যোগ দেন বাংলাদেশের এই মিডফিল্ডার। পাকিস্তানের গোলরক্ষক ইউসুফ বাট বর্তমানে আছেন ডেনমার্কে। তিনিও যোগ দেন সেখান থেকেই।

এছাড়া ভুটানের অধিনায়ক কার্মা শেদ্রুপ শেরিং, মালদ্বীপের আকরাম আবদুল গনি, ভারতের সাবেক ডিফেন্ডার সন্দেশ জিঙ্গান, নেপালের অধিনায়ক কিরন কুমার, শ্রীলঙ্কার সাবেক ফুটবলার এবং ফিফা রেফারি এনলোভোন রবেশ প্রত্যেকে নিজেদের দেশের করোনা পরিস্থিতি বর্ণনা করেন।

জামাল ডেনমার্কে থাকলেও বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন। লাইভে এসে বলছিলেন, 'বর্তমানে আমরা খুবই কঠিন একটা সময় পার করছি। আমরা ফুটবল খেলতে পারছি না। আমার পরিবার এখন ডেনমার্কে আছে। বাংলাদেশের চেয়ে এখানকার পরিস্থিতি অন্যরকম। বাংলাদেশের মানুষেরা একেবারেই আলাদা। তারা বেশি ধরাবাধা নিয়ম কানুন মানতে চায় না। পছন্দও করে না। আমি শুক্রবারের জুমার নামাজে মসজিদে অনেক লোকের সমাগম দেখেছি। এটা মোটেও ভালো হচ্ছে না দেশের জন্য। করোনাভাইরাস নিয়ে ওরা একদমই মনে হয় ভাবছে না। তবে আশা করি পরের মাস থেকে এটা আরও উন্নতির দিকেই যাবে।'

ভক্তদের বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করেছেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের এই মিডফিল্ডার, 'আমার ভক্তদের বলছি, বল পায়ে আবারও শৈশবে ফিরে যান। ঘরে থেকে আপনি যা করতে ভালোবাসেন, সেটাই করুন। আমরা ফুটবল খেলি কারণ এটা অনেক মজার। আমরা সবাই এখানে আড্ডা দিচ্ছি, কারণ সবাই ফুটবলকে ভালোবাসি। ছোটো বেলায় আমি কখনোই টাকার কথা ভাবিনি। আমি ফুটবল ভালোবাসতাম। রাস্তায় খেলে বেড়াতাম। সেখান থেকেই ফুটবলে আসা। আপনারা বল পায়ে তুলে নেন এবং বল দিয়ে যতো রকম কারিকুরি করে দেখাতে পারেন সবাইকে দেখান।'

মাঠে সব সময় প্রতিপক্ষকে হারাতে ভালোবাসেন ভারতের ফুটবলার সন্দেশ। এবার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেও যুদ্ধে জিততে চান তিনি, 'সবাই বাড়িতে থাকার চেষ্টা করি তাহলে অবশ্যই পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমরা আশাবাদী হতে চাই। অবশ্যই খুব শিগগির এই ভাইরাসকে হারিয়ে দেব আমরা।'

পাকিস্তানের গোলকিপার ইউসুফও সন্দেশের মতোই একই সুরে কথা বললেন, 'আশা করি খুব দ্রুত আমরা এটা থেকে বেরিয়ে আসবো। আমাদের ফিটনেস ও খেলার অনেক উন্নতি করতে হবে।' ভুটানের অধিনায়ক কার্মা নিজের দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট, 'আমাদের দেশটা ছোটো, লোকসংখ্যাও কম। এই কম জনসংখ্যার দেশে তাই করোনা ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত ৭ জন রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৫ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছে। দেশে কেউ এলেই তাকে তিন সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। এমনকি আপনি সেখান থেকে ছাড়া পেলেও বাইরে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না ।'