'তিরিশ হাজার লোক চলে আসবে লিভারপুলের মাঠের বাইরে'

লিভারপুলের লিগ জেতার অপেক্ষায় সমর্থকেরা। ছবি: এএফপি
লিভারপুলের লিগ জেতার অপেক্ষায় সমর্থকেরা। ছবি: এএফপি
>করোনাভাইরাসের কারণে নিরপেক্ষ মাঠে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বাকী ম্যাচগুলো আয়োজন না করা হলে অতি আবেগী মানুষজন মাঠের বাইরে এসে ভিড় জমাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন লিভারপুলের সাবেক মিডফিল্ডার জেসন ম্যাকাটির

জার্মান লিগ শুরু হয়ে যাচ্ছে আগামী শনিবার থেকে। লিগে আবারও খেলার আশায় অনুশীলন করা শুরু করেছেন স্প্যানিশ ও ইতালিয়ান লিগের খেলোয়াড়েরাও। শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে এখনো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগই আছে দোনমনায়। লিগ আবার কবে শুরু করা হবে, হলেও কীভাবে – এ সব প্রশ্নের জবাব এখনও নেই সালাহ-আগুয়েরো-ফন ডাইকদের লিগের কাছে।

শোনা যাচ্ছে, দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলা তো হবেই, বাকি খেলাগুলো হবে একদম নিরপেক্ষ স্টেডিয়ামে। এই প্রস্তাব সমর্থন করেছেন লিভারপুলের সাবেক মিডফিল্ডার জেসন ম্যাকাটির। আর তাঁর সমর্থনের পেছনে যুক্তিও আছে।

কী সেই যুক্তি? শোনা যাক তাঁর ভাষ্য থেকেই, 'আমার মনে হয় নিরপেক্ষ স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করা না হলে লিভারপুলের মতো দলের সমর্থকেরা মাঠের বাইরে এসে ভিড় জমাবে। যা এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট ভীতিকর। এমনিতেই ওরা লিগ জয়ের একদম দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। আর ছয় পয়েন্ট পেলেই গাণিতিকভাবে লিগ ওদের হয়ে যাবে তিরিশ বছর পর। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন হওয়ার আগেও আমি এটা নিয়েই চিন্তা করছিলাম। লিগ জিতে গেলে ওদের সমর্থকেরা মাঠের বাইরে জমায়েত হবে, উদযাপন করবে। এখনও সেই ভয়টা আছে। লিগ শুরু হয়ে যাওয়ার পর অ্যানফিল্ডে কোনো এক ম্যাচে যদি লিভারপুলের লিগ জয় নিশ্চিত হয়ে যায়, তবে অন্তত তিরিশ হাজার মানুষ মাঠের বাইরে এসে উল্লাস করা শুরু করে দেবে। সবাই এই মূহুর্তটির জন্য তিরিশ বছর ধরে অপেক্ষা করে আছে। অবশেষে শিরোপা হাতে এসে গেলে ওরা তাই নিজেদের আটকে রাখতে পারবে না। এই অসাধারণ মূহুর্তটির সাক্ষী হওয়ার জন্য মাঠের বাইরে আসতে চাইবে, সবার সঙ্গে উদযাপন করতে চাইবে। পুলিশও তখন আটকাতে পারবে না, হিমশিম খাবে। যা আমাদের অনেক বড় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে দেবে।'

এ ধরণের কোনো সমস্যায় যাতে না পড়তে হয় এ জন্য ম্যাকাটিরের কাছে একমাত্র সমাধান বলে মনে হচ্ছে নিরপেক্ষ স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করা, 'যদিও এখন ভাইরাস সম্পর্কে সবাই মোটামুটি জানে। তাও দেখা যাবে শিরোপা-উল্লাস করার জন্য সবাই মাঠের বাইরে এসেছে। আর এটা এড়ানো যাবে যদি নিরপেক্ষ স্টেডিয়ামে লিগের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করা হয়। বিশ্বকাপের মতো করে এভাবে লিগ আয়োজন করা যায়। দুই-তিন দিন অন্তর অন্তর ম্যাচ হবে, চাইলে এমনটাও করা যায়।'