শেষ থেকেই শুরু করবেন সাকিব

মেয়ে আলাইনার সঙ্গে সাকিব। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মেয়ে আলাইনার সঙ্গে সাকিব। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ফিটনেস, ফর্ম সব দিক থেকেই ছিলেন ক্যারিয়ারের সেরা অবস্থায়। সেখান থেকে মুহূর্তেই ভূপাতিত সাকিব আল হাসান! তিন তিনবার জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটকে না জানিয়ে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে।

এই যে খেলা বিহীন জীবন, এ থেকেও শেখার দেখেন সাকিব। আজ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, 'এটাও এক ধরণের অভিজ্ঞতা, শেখার অনেক কিছু আছে। অনেক কিছুই আমরা অবহেলার ছলে দেখি কিংবা নেওয়ার চেষ্টা করি। যেটা আসলে নেওয়া উচিত না। এই বড় শিক্ষাটা আমি ভালোভাবে পেয়েছি।'

ক্রিকেটের মতো জীবনেও সব ক্ষেত্রে খারাপের মধ্যে ভালো কিছু খুঁজে বেড়ান সাকিব। ১ বছরের নিষেধাজ্ঞার মাঝেও ইতিবাচক দিক দেখছেন তিনি। এই সময়টা শতভাগ পরিবারকে দিতে পারছেন, এতেই তাঁর সন্তুষ্টি, 'আমাদের প্রথম বাচ্চা হওয়ার সময় আমি থাকতে পারিনি। এবার থাকতে পারছি। দেখাশোনা করতে পারছি। এটা ভালো দিক।'

তবে দিন শেষে সাকিব পেশাদার ক্রিকেটারই। মাঠের মানুষের জন্য মাঠের বাইরের এই 'অবসর' যে কতটা কঠিন, সেটা উপলব্ধি করছেন প্রতিনিয়ত, 'মনের পেছনে তো ঘুরতেই থাকে খেলতে না পারার কথা। যদিও এখন খেলা হচ্ছে না, কখন শুরু হবে এটাও অনিশ্চিত। আমার তো আরও পাঁচ-ছয় মাসের মতো সময় আছে। যদি এক মাস পর খেলা শুরু হয় তাহলে আমি আরও ৪-৫ মাস পর খেলব। খারাপ লাগে, খারাপ লাগার মতই বিষয়। মাঠে না যাওয়ারটাই সবচেয়ে কষ্টের বিষয়। কোথায় খেলছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ না। আমি খেলছি, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।'

নিষেধাজ্ঞার আগে সাকিব ছিলেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। সাকিবের অনুপস্থিতিতে এই দুই দলের নেতৃত্বে আছেন মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহ। তবে এই মুহুর্তে সাকিবের ভাবনায় নেতৃত্বের বিষয়টি নেই। তাঁর অপেক্ষা কেবলই মাঠে ফেরার। গত অক্টোবরে ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। ঠিক সেখান থেকেই শুরু করতে চান আবার, 'সবার আগে খেলায় ফিরতে চাই। যেখান থেকে খেলাটা বন্ধ হয়েছে সেখান থেকে আবার যেন শুরু করতে পারি এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা। যেখানে শেষ করেছি, সেখান থেকেই যেন শুরু করতে পারি। আমার কাছে চ্যালেঞ্জ ওই একটাই, আর কোন চ্যালেঞ্জ নেই।'