টেন্ডুলকারকে নিয়ে অবিশ্বাস্য কথা পাকিস্তানি তারকার

পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ । ছবি: টুইটার
পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ । ছবি: টুইটার

কথাটা কানে অবিশ্বাস্য ঠেকবে। ভারত-পাকিস্তান চির বৈরী দুটি দেশ। ক্রিকেট মাঠে তো বটেই। প্রতিপক্ষকে পর্যুদস্ত করাই থাকে দুই দলের লক্ষ্য। প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যানকে ফেরাতে হয় যত দ্রুত সম্ভব। সেখানে রশিদ লতিফের কথাটা অবিশ্বাস্যই। শচীন টেন্ডুলকার ব্যাটিংয়ে নামলে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো লতিফের মন নাকি ঘুরে যেত। তিনি চাইতেন না, টেন্ডুলকার আউট হোক।

নব্বই দশকে টেন্ডুলকার ছিলেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের প্রাণভোমরা। লতিফ তখন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেসব দিনেরই স্মৃতিচারণ করে করোনা-কালে সময় কাটছে পাকিস্তানের সাবেক এ উইকেটরক্ষকের। হতে পারে শ্রদ্ধা থেকেই ভারতীয় কিংবদন্তিকে নিয়ে এমন কথা বেরিয়ে এসেছে তাঁর মুখে, 'উইকেটরক্ষক থাকতে অনেকেই ব্যাটিংয়ে এসেছে। কিন্তু সে(টেন্ডুলকার) ব্যাটিংয়ে এলে মন চাইত না আউট হয়ে যাক। কিপিং করার সময় তাঁর ব্যাটিং উপভোগ করতাম।'

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান ও সেঞ্চুরির মালিক টেন্ডুলকার রশিদের চোখে আলাদা। পাকিস্তানের হয়ে ৩৭ টেস্ট ও ১৬৬ ওয়ানডে খেলা লতিফের ব্যাখ্যা, 'ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং যে-ই আসুক, আউট হয়ে যাক চাইতাম। কিন্তু টেন্ডুলকারের আচরণ ছিল একেবারেই আলাদা। পেছন থেকে কিছু বললেও জবাব দিত না, শুধু হাসত। অন্যরা সাধারণত ‍চুপ থাকে না। সে এবং আজহারউদ্দিন এখানে আলাদা। প্রতিপক্ষেরও মন জয় করত। এ কারণে সবাই টেন্ডুলকারের প্রশংসা করে, বিশেষ করে ‍উইকেটরক্ষকেরা।'

লতিফ আরও ব্যাখ্যা করেন, 'সে আসবে, এক শ করবে কিন্তু কোনো কথা বলবে না। উইকেটরক্ষক তাকে রাগানোর চেস্টা করবে, কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবে না।ইনিংস তো কতই খেলা হয়, কিন্তু লোকে আচরণটা মনে রাখে। আমার মনে সে মাঠে আচরণের ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেক উঁচু জায়গায় থাকবে। এমন খেলোয়াড়দের ভোলা যায় না।'