আইপিএলে বিদেশি ছাড়া খেলবে না চেন্নাই

চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএলে অন্যতম সফল দল। ছবি: এএফপি
চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএলে অন্যতম সফল দল। ছবি: এএফপি

আইপিএল এ বছর কবে অনুষ্ঠিত হবে তা কেউ জানে না। কিন্তু আলোচনা চলছে।টুর্নামেন্ট বাতিল করা হলে চার হাজার কোটি টাকা লোকসান গুনবে বিসিসিআই। শোনা যাচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আইপিএল আয়োজনের জোর চেষ্টা চালানো হবে।

সে সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বকাপের ভবিষ্যতও শঙ্কার মুখে। শেষমেশ বিশ্বকাপ না হলে সুযোগটা নিতে চাচ্ছে বিসিসিআই। তখন আইপিএল আয়োজন করা হতে পারে, শোনা যাচ্ছে।

তবে সে সময় আইপিএলে বিদেশি ক্রিকেটার কয়জন আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা মাথায় নিয়ে কে-ই বা আসবেন আইপিএল খেলতে? এমনও হতে পারে, বিদেশি ছাড়াই আয়োজন করা হবে আইপিএল। আর যদি সেটাই হয়, তাহলে বিদেশিহীন আইপিএল খেলার একদমই ইচ্ছে নেই টুর্নামেন্টের অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংসের।

বিদেশি ছাড়া আইপিএল আর সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি খেলার মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। প্রসঙ্গত, সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি হলো ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট, যেখানে শুধু ভারতীয়রাই অংশ নিতে পারেন।

এ প্রসঙ্গে চেন্নাইয়ের একজন মুখপাত্র 'নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'কে জানিয়েছেন, 'শুধু ভারতীয় খেলোয়াড় নিয়ে আইপিএল খেলতে আগ্রহী নয় চেন্নাই। তাহলে আইপিএল খেলার সঙ্গে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি খেলার কোনো পার্থক্য থাকবে না। আরেকবার একই টুর্নামেন্ট খেলার কোনোই মানে হয় না। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজির বর্তমানে যোগাযোগ নেই, কেননা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে (করোনাভাইরাসের কারণে)। আশা করি বছরের শেষ দিকে আমরা ভালোভাবেই আইপিএল আয়োজন করতে পারব।'

এবারের আইপিএলের শুরু হওয়ার কথা ছিল মার্চ মাসের ২৯ তারিখে। করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়ে এপ্রিলের ১৫ তারিখ শুরুর দিন ধার্য করা হয়। করোনার প্রকোপ তখনও না কমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয় এবারের সংস্করণ।

আইপিএলের ইতিহাসের অন্যতম সফল দল এই চেন্নাই সুপার কিংস। মহেন্দ্র সিং ধোনির যোগ্য নেতৃত্বে এর মধ্যেই তিনবার (২০১০, ২০১১, ২০১৮) শিরোপা ঘরে তুলেছে তাঁরা। আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশিবার ফাইনালে ওঠার কৃতিত্বও তাদের।