হাঁপানি আক্রান্ত বাবাকে নিয়ে ভয়

চেলসি স্ট্রাইকার ট্যামি আব্রাহাম। ছবি: আব্রাহামের টুইটার পেজ
চেলসি স্ট্রাইকার ট্যামি আব্রাহাম। ছবি: আব্রাহামের টুইটার পেজ

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় কি? বেঘোরে নিজের প্রাণটা না হারানো। সে ভাবনা তো চিরন্তন, তবে এরপর অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পরিবার উঠে আসে সবার আগে।

ধরুন, এই মহামারির মধ্যে আপনাকে নিজের পেশায় ফিরতে বলা হলো। তখন নিজেকে নিয়ে দুশ্চিন্তা তো থাকেই, ভাবতে হয় পরিবার নিয়েও।নিজের মাধ্যমে যদি তারাও সংক্রমিত হয়! ঠিক এ ভয়টাই পাচ্ছেন ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার ট্যামি আব্রাহাম।

বুন্দেসলিগা শুরু হচ্ছে আজ। শীর্ষ পর্যায়ে লিগ মাঠে ফেরানোর কথা ভাবছে স্পেন ও ইতালিও। ইংল্যান্ড বসে থাকবে কেন? পারলে জুনেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ মাঠে ফেরাতে চায় তারা। চেলসি স্ট্রাইকার আব্রাহাম আর দশজন ফুটবলারের মতোই এ নিয়ে চিন্তিত। করোনা মহামারি কাটার আগেই মাঠে ফেরা ঠিক মেনে নিতে পারছেন লিগের অধিকাংশ ফুটবলার। সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত তারা।

আগামী মঙ্গলবার থেকে অনুশীলনে ফিরতে পারবেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলাররা। করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকারি বিধিনিষেধ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে তাদের, যদিও খেলাটার নাম ফুটবল। প্রতি সপ্তাহে ন্যূনতম দু-বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি অনুশীলন সেশনের ৪৮ ঘন্টা আগেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে ফুটবলারদের।

তবু সংক্রমণের ভয় থেকেই যায়। হাজার হোক ফুটবল তো ‘ফিজিক্যাল কনটাক্ট’ খেলা। ২২ বছর বয়সী আব্রাহাম তাঁর বাবাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন। তাঁর মাধ্যমে বাবার শরীরে করোনা ছড়ালে এর চেয়ে খারাপ কিছু আর হতে পারে না, বলেছেন আব্রাহাম, ‘আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ফুটবল তো যে কোনো সময়ই ফেরানো যাবে। এটা নিরাপদ হলে সম্ভব, কিন্তু তা না হলে আমরা অপেক্ষা করব।’

অ্যাস্টন ভিলায় ধারে খেলা আব্রাহাম এরপরই তাঁর বাবার প্রসঙ্গ তোলেন, ‘বাবার হাঁপানি আছে। প্রিমিয়ার লিগে ফিরলে ঈশ্বর না করুন যদি করোনায় সংক্রমিত হই এবং সেখান থেকে ঘরেও হয়, তাহলে এর চেয়ে খারাপ কিছু আর হতে পারে না।’

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কবে মাঠে ফিরবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ ও ক্লাবগুলোর মধ্যে কথা চলছে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জুনে খেলা ফেরানোর সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছেন তারা। ব্রিটেনে সংস্কৃতি, মিডিয়া ও খেলাধুলা বিষয়ক সচিব অলিভার ডোডেন বলেছেন, জুনে ফুটবল ফেরানোর দরজা খুলেছে সরকার।