টেন্ডুলকারকে আউট দিলে মারই খেতে হতো তাঁকে

প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দিন স্টেইনকে বারবার হতাশ করেছেন টেন্ডুলকার। এএফপি ফাইল ছবি
প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দিন স্টেইনকে বারবার হতাশ করেছেন টেন্ডুলকার। এএফপি ফাইল ছবি

ইয়ান গোল্ডের আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দক্ষিণ আফ্রিকান গতি তারকা ডেল স্টেইন। তাঁর অভিযোগ, ওয়ানডেতে শচীন টেন্ডুলকার যেদিন ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন, সেদিন মাইলফলক ছোঁয়ার আগেই তিনি এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েছিলেন। কিন্তু ইংলিশ আম্পায়ার গোল্ডের বদান্যতায় বেঁচে যান ক্রিকেট কিংবদন্তি।

স্টেইনের বলেই সেদিন এলবিডব্লু হতে পারতেন টেন্ডুলকার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১০ সালে গোয়ালিয়রের সেই ঐতিহাসিক ইনিংসটা তাঁর জন্য আক্ষেপেরই হতে পারত। কিন্তু সেটি গোল্ডের কারণে হয়নি। কিন্তু স্টেইন তেমনটাই জানিয়েছেন।

স্কাই স্পোর্টসে ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় নিজের সেই হতাশার কথাই বলেছেন স্টেইন, 'শচীন টেন্ডুলকার ২০১০ সালে গোয়ালিয়রে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। আমার যতদূর মনে পড়ে ১৯০ রানের ঘরে থাকার সময় আমার বলে সে এলবিডব্লু হয়েছিল। ইয়ান গোল্ড আম্পায়ারিং করছিলেন। তিনি সেটি দেননি।'

আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে যারপরনাই হতাশ হয়েছিলেন প্রোটিয়া পেস তারকা। তাঁর মনে হয়েছিল গোয়ালিয়রে দর্শকদের রোশের হাত থেকে বাঁচতেই সেদিন টেন্ডুলকারকে আউট দেননি গোল্ড। আউটটি দিলে হয়তো হোটেলেই ফিরতে পারতেন না গোল্ড।

২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারত–পাকিস্তান সেমিফাইনালে টেন্ডুলকারকে এলবি দিয়েছিলেন গোল্ড। কিন্তু পরে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান টেন্ডুলকার। সম্প্রতি এক গোল্ড নিজেই সেই বিতর্কটা উসকে দিয়েছেন। সাঈদ আজমলের বলে টেন্ডুলকারের বিপক্ষে গোল্ড যখন এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত দেন, তখন তাঁর রান ছিল ২৩। পরে টিভি আম্পায়ার বিলি বাউডেন সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। সেই ইনিংসটিই ৮৫ রানে পরিণত করে সেদিন ভারতের বিজয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন 'মাস্টার ব্লাস্টার'।

আরও পড়ুন...