ফেরার কথায় চিন্তায় পড়ে গেছেন খেলোয়াড়েরা

জার্মানিতে ফুটবল ফেরায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের। ছবি: টুইটার
জার্মানিতে ফুটবল ফেরায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের। ছবি: টুইটার

বুন্দেসলিগা কালই শুরু হয়ে গেছে। বিখ্যাত রিভারসাইড ডার্বিতে শালকেকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সম্ভাব্য সেরা প্রত্যাবর্তন উপহার দিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। জার্মানির দেখাদেখি ফুটবল মাঠে ফেরানোর পরিকল্পনা করছে স্পেন ও ইতালি। করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার পেরিয়ে গেলেও সে পথেই হাঁটতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যও।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফেরার কথা শুনে স্বস্তিতে নেই ফুটবলাররা। ওয়াটফোর্ডের ট্রয় ডিনি, বেন ফস্টারের মতো ফুটবলাররা আগেই তাঁদের দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন। সে দলে যোগ দিলেন চেলসির উইলিয়ানও। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের ধারণা, অধিকাংশ খেলোয়াড়ই ফেরার চিন্তায় খুব একটা আগ্রহ পাচ্ছেন না। ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ডকে উইলিয়ান বলেছেন, 'সত্যি কথা বলি, আমি যা দেখছি, অধিকাংশই ফেরার কথা শুনে অস্বস্তিতে আছে। আমরাও খেলায় ফিরতে চাই। যা করতে ভালোবাসি সেই খেলাকে অনেক মিস করি আমরা। কিন্তু তার আগে ব্যাপারটা নিরাপদ হতে হবে। এটার দিকেই আমাদের নজর এখন। আমাদদের স্বাস্থ্য সবার আগে। ফলে যতদিন না ফেরা সম্পূর্ণ নিরাপদ হবে, খেলোয়াড়েরা এ ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ পাচ্ছে।'

অনেক নতুন নিয়ম কানুন সৃষ্টি করে জার্মানিতে খেলা শুরু হয়েছে। মাঠে থুতু ফেলা যাবে না, দুই দল আলাদাভাবে মাঠে ঢুকবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবে-এমন কিছুই আলোচিত হয়েছে। এ কারণে গোল উদ্‌যাপনের পরও সতীর্থরা দূরে দাঁড়িয়ে গোল উদ্‌যাপন করেছেন। যোগ করা সময়ের গপোলে জয়ের পরও তাই তেমন উল্লাস করার সুযোগ হয়নি। অথচ খেলার মাঝেই একে অন্যকে ট্যাকল করছেন, ফ্রি কিক বা কর্নারের সময় সব খেলোয়ার একে অপরের সঙ্গে গায়ে ধাক্কা দিচ্ছেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই দলকে এক সঙ্গে মাঠেও ঢুকতে দেখা গেছে। ফলে ফুটবল মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি প্রথম দিনেই হাস্যকর ঠেকেছে।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু করতে চাইলে এ সমস্যাগুলো দূর করার কথা বলছেন উইলিয়ান, 'বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে দলের সবাই অনেক কথা বলছি আমরা, কিছু মিটিংও হয়েছে। ল্যাম্পার্ড (কোচ) প্রিমিয়ার লিগ কী চায় সেবারে কিছু তথ্যও দিয়েছে। আমরা এখনো জানি না সামনে কী হতে যাচ্ছে। আশা করি আগামী কিছুদিনে জানব। প্রিমিয়ার লিগ একটা মিটিং করে আমাদের জানাবে পরবর্তী ধাপের কথা।'

ওয়াটফোর্ড অধিনায়ক ও গোলরক্ষকের মতো কোচ নাইজেল পিয়ারসনও নিজের দুশ্চিন্তার কথা লুকাননি, 'যদি একজনও অসুস্থ হয়ে পড়ে কী হবে? মানুষ এত বড় ঝুঁকির ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রাখছে। হ্যাঁ, আমরা চাই খেলা শুরু হোক। কিন্তু তার আগে সবকিছু নিরাপদ হোক। আমাদের সাবধান হতে হবে। ঝুঁকির সম্ভাবনা পাত্তা না দেওয়া হঠকারি হবে। মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে।'