থুতু নিষিদ্ধ হচ্ছে, ঘামে আপত্তি নেই

ক্রিকেট বলে থুতু মাখানো নিষিদ্ধ হচ্ছে, তবে ঘামে আপত্তি নেই ক্রিকেট কমিটির । ফাইল ছবি
ক্রিকেট বলে থুতু মাখানো নিষিদ্ধ হচ্ছে, তবে ঘামে আপত্তি নেই ক্রিকেট কমিটির । ফাইল ছবি
>ক্রিকেট বলে থুতু লাগানো নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি। সুপারিশ করা হয়েছে  ‘নিরপেক্ষ’ আম্পায়ারের বাধ্যবাধকতাও

 ক্রিকেট বলে থুতু মাখানো যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে করোনাভাইরাস এসেই তা নিশ্চিত করে দিয়েছিল। আইসিসির ক্রিকেট কমিটিও সুপারিশ করেছে আইন করে বলে থুতু মাখানো নিষিদ্ধ করার। গতকাল এক ভিডিও কনফারেন্সে আইসিসির কাছে এই সুপারিশ করেছে অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটি। থুতু নিষিদ্ধ হলেও ক্রিকেট কমিটি জানিয়েছে ঘাম মাখিয়ে চকচকে রাখতে কোনো আপত্তি নেই তাদের। গতকালের বৈঠকে করোনার এই সময়ে ‘অনিরপেক্ষ’ ম্যাচ অফিশিয়াল নিয়োগ ও বাড়তি ডিআরএস যোগ করার সুপারিশও করেছে ক্রিকেট কমিটি। আগামী মাসে আইসিসি প্রধান নির্বাহীদের সভায় পাস হতে পারে প্রস্তাবগুলো।

আইসিসির মেডিকেল অ্যাডভাইজরি কমিটির প্রধান ডাক্তার পিটার হারকোর্টের পরামর্শ মেনেই বলে থুতু মাখানো নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছে ক্রিকেট কমিটি। ক্রিকেট কমিটি সর্বসম্মতভাবেই থুতু বা লালা মাখানো নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করে। অন্যদিকে ঘামের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় ঘাম মাখাতে আপত্তি করেনি কমিটি। তবে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট মাঠগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি আরও কঠোরভাবে মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে কমিটি।

করোনাভাইরাস এসে বন্ধ করে দিয়েছে সব ধরনের খেলাধুলা। তবে এরইমধ্যে ফিরতে শুরু করেছে অনেক খেলা। ক্রিকেটও যে ফিরে আসবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই আইসিসির। তবে বিভিন্ন দেশের কোয়ারেন্টিন আইন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ভাবাচ্ছে আইসিসিকে। সামনে হয়তো চাইলেই হুট করে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়া যাবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে নিরপেক্ষ আম্পায়ার দেওয়াটাই কষ্টকর হয়ে যাবে। বর্তমান নিয়মে টেস্টে দুই প্রান্তেই এবং ওয়ানডেতে এক প্রান্তে আইসিসি নিয়োগকৃত নিরপেক্ষ আম্পায়ার থাকেন। কুম্বলের কমিটি সুপারিশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য হলেও এই নিয়ম শিথিল করার, ‘বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ, আছে ফ্লাইট স্বল্পতা, তারওপর বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন। এ সব বিবেচনায় নিয়ে কমিটি স্বল্প সময়ের জন্য স্থানীয় অফিশিয়াল নিয়োগের প্রস্তাব করেছে।’

অবশ্য আইসিসিই ঠিক করে দেবে কারা আম্পায়ারিং করবেন। আইসিসির এলিট ও ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলে থাকা স্থানীয় আম্পায়াররা ও ম্যাচ রেফারিরাই প্রাধান্য পাবেন। এলিট প্যানেলের আম্পায়ার না পাওয়া গেলে তবেই নিয়োগ দেওয়া হবে স্থানীয় আন্তর্জাতিক প্যানেলের আম্পায়ারদের।

ক্রিকেট কমিটি করোনার এই সময়ে ম্যাচে আরও বেশি প্রযুক্তি ব্যবহারেরও সুপারিশ করেছে। প্রতি ইনিংসেই দলগুলো একটি করে বাড়তি ডিআরএস রিভিউ নিতে পারে।

কেন এসব পরিবর্তন তাঁর ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইসিসি ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলে, ‘আমরা এখন ব্যতিক্রমী এক সময়ে বাস করছি। ক্রিকেটকে নিরাপদে মাঠে ফিরিয়ে আনতে, খেলাটির মৌলিকত্ব ধরে রাখতে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিরাপদে রাখতেই কমিটি অন্তর্বর্তীকালীন এসব সুপারিশ করেছে।’