বাবা ঘুষ দেননি বলে বাদ পড়েছিলেন কোহলি

ঘুষ না দেওয়ায় দিল্লির বয়সভিত্তিক দলে একবার জায়গা মেলেনি কোহলির। ফাইল ছবি
ঘুষ না দেওয়ায় দিল্লির বয়সভিত্তিক দলে একবার জায়গা মেলেনি কোহলির। ফাইল ছবি
ঘুষ চেয়েছিলেন এক নির্বাচক। বিরাট কোহলির বাবা তা দিতে রাজি হননি বলে দিল্লির বয়সভিত্তিক দলে নেওয়া হয়নি তাঁকে

ইস্পাত দৃঢ় মানসিকতা'— ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে বোঝাতে এই একটি বাক্যই যথেষ্ট। আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান সেই ছেলেবেলাতেই বুঝে গিয়েছিলেন মানসিকভাবে শক্ত না হলে, প্রতিভাকে অনূদিত না করতে পারলে, নিজের কাজে সেরা না হলে কোনো লাভ নেই। কোহলির এই উপলব্ধি হয়েছিল ঘুষ না দেওয়ায় দিল্লি রাজ্য বয়সভিত্তিক দল থেকে বাদ পড়ে।
করোনার এই সময়ে ঘরে বসেই সময় কাটছে খেলোয়াড়দের। তবে একদম বেকার বসে নেই তাঁরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর ওর সঙ্গে নিয়মিতই আলাপচারিতা মশগুল হন তাঁরা। সেই আলাপচারিতা আবার সরাসরি দেখতে পারেন ভক্তরা। এমনই এক আলোচনায় দুদিন আগে ভারত জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রির সঙ্গ আড্ডায় মেতেছিলেন ক্রিকেট অধিনায়ক। সেখানেই জীবনের বাঁক বদলে দেওয়া সেই ঘটনার উল্লেখ করেছেন কোহলি।ঠিক কে ঘুষ চেয়েছিলেন সেটি বলেননি কোহলি, তবে তিনি যে দিল্লি রাজ্য ক্রিকেটের একজন নির্বাচক ছিলেন সেটি বলেছেন। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর ব্যাটসম্যান বলেছেন ওই ঘটনায় মন ভেঙে গিয়েছিল তাঁর, 'আমার রাজ্যে মাঝেমধ্যে এমন কিছু হয় যা অন্যায্য। নির্বাচক দলে এমন একজন ছিলে যিনি কিনা দল নির্বাচনে বাকা পথে হাঁটতেন। তিনি আমার বাবাকে বলেছিলেন আমি মেধাবী তা নিয়ে তাঁর সংশয় নেই তবে দলে জায়গা পেতে কিছু উপরি (ঘুষ) দিতে হবে।'
কোহলির বাবা ঘুষ না দিয়ে উল্টো কথা শুনিয়ে দিয়েছিলেন সেই লোককে, 'আমার বাবা বললেন, ''বিরাটকে দলে নিতে চাইলে মেধার ভিত্তিতেই নিন। আমি কোনো উপরি দেব না। ''' ওই বার দিল্লির সেই রাজ্য দলে সুযোগ না পেয়ে কেঁদে বুক ভাসিয়েছিলেন কোহলি।তবে ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনটাকেই বদলে ফেলার শপথ নিয়েছিলেন কোহলি, 'ঘটনাটি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমি বুঝেছি পৃথিবীটা কীভাবে চলে। আপনি উন্নতি করতে চাইলে এমন কিছু করতে হবে যা অন্য কেউ করে না। বুঝলাম সফল হতে হলে আমাকে অসাধারণ হতে হবে। আমার যা কিছু অর্জন তার সবটাই নিজের চেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রমে পাওয়া।'
সঠিক পথ দেখানোয় প্রয়াত বাবার প্রতি শ্রদ্ধাও জানালেন কোহলি, 'আমার বাবা শুধু কিছু শব্দ সাজিয়ে নয় তাঁর কাজের মাধ্যমেই আমাকে পথ দেখিয়েছেন।'১৮ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন কোহলি। বাবার মৃত্যুর সময় রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলছিলেন তিনি। শেষকৃত্যে যোগ দিয়ে পরের দিনই আবার ম্যাচ খেলতে চলে গিয়েছিলেন। বাবার অকাল মৃত্যু তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে বলেই মানেন কোহলি, 'তাঁর মৃত্যু আমাকে বুঝিয়ে দেয় আমাকে জীবনে কিছু একটা করতে হবেই। এখন ভাবি বাবাকে যদি নিরুপদ্রপ এক অবসর জীবন উপহার দিতে পারতাম কী দারুণ ব্যাপারই না হতো। তাঁর কথা মনে করে মাঝেমধ্যেই আবেগতাড়িত হয়ে