কোহলির অজুহাতটা ফালতু লেগেছিল স্টোকসের

কোহলির অভিযোগ হাস্যকর ঠেকেছিল স্টোকসের। ছবি: আইসিসি
কোহলির অভিযোগ হাস্যকর ঠেকেছিল স্টোকসের। ছবি: আইসিসি

অ্যাশেজে সর্বকালের সেরা দশ ইনিংসে জায়গা পাওয়ার মতো ইনিংস খেলে ফেলেছেন এবারই। এর কিছুদিন আগেই বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর আরেকটি একক বীরত্ব ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছে অধরা বিশ্বকাপের স্বাদ। তাই ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে থেকেও আত্মজীবনী লেখার সাধ জেগেছে বেন স্টোকসের। সে আত্মজীবনীতে আবার বিরাট কোহলিকে খোঁচাও দিয়েছেন।

'বেন স্টোকস অন ফায়ার' নামে একটি বই লিখেছেন স্টোকস। ইংলিশ অলরাউন্ডার বইয়ের কাটতি বাড়ানোর ভালো উপায়ই খুঁজে পেয়েছেন, আর সেটা হলো বিতর্ক জন্ম দেওয়া। ক্রিকেট পাগল ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে খোঁচা দেওয়ার চেয়ে ভালো বিজ্ঞাপন তো আর হয় না! ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ নিয়েই কোহলিকে বেশ বড়সড় খোঁচা দিয়েছেন স্টোকস।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে ৩৩৭ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। সে রান তাড়া করতে নেমে ৩৩১ রানেই থামে ভারত। এজবাস্টনের এক দিকের সীমানা একটু ছোট থাকার সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়েছিল ইংল্যান্ড। যেই স্পিন জুটি নিয়ে আগের এক বছর ক্রিকেটে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল ভারত, সেই কুলদীপ যাআদব ও যুজবেন্দ্র চাহালের ২০ ওভারেই ১৬০ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। নিজের সেরা অস্ত্রগুলো এভাবে ভোতা হয়ে যাওয়ার পর ম্যাচ শেষে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন কোহলি, 'ব্যাটসম্যানরা যদি রিভার্স সুইপ করে ৫৯ মিটার সীমানায় ছক্কা মারে, তাহলে স্পিনার হিসেবে আসলে করার কিছু থাকে না। ওদের অনেক কৌশলী হতে হয়েছে বোলিং লাইন নিয়ে কারণ একদিকে ছোট সীমানা থাকায় রান আটকানো খুব কঠিন ছিল।'

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে শুধু এই ম্যাচেই হেরেছিল ভারত। হারের তিক্ততায় অনভ্যস্ত কোহলি তাই মাঠেরই দোষ খুঁজে নিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর কোহলির এমন অজুহাত মোটেও ভালো লাগেনি স্টোকসের। নিজের বইয়ে লিখেছেন, 'ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভারত অধিনায়ক কোহলি যেভাবে সীমানা ছোট বলে ঘ্যানঘ্যান করছিল সেটা শুনে খুব অবাক হয়েছি। আমি কখনো ম্যাচের পর এত অদ্ভূত অভিযোগ শুনিনি। জীবনে এর চেয়ে বাজে অভিযোগ আর করা যায় না।'