এক হাজার দুস্থ খেলোয়াড়ের পাশে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও বিসিবি

এক হাজার দুস্থ খেলোয়াড়ের পাশে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও বিসিবি। ছবি: প্রথম আলো।
এক হাজার দুস্থ খেলোয়াড়ের পাশে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও বিসিবি। ছবি: প্রথম আলো।

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে প্রায় বছর দুয়েক মাঠের বাইরে ছিলেন অনিক বর্মণ। চোট থেকে সেরে আবারও মাঠে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন ওয়ারী ক্লাবের এই ফুটবলার। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন অনিক। খেলাধুলা নেই বলে উপার্জনও বন্ধ। শুধু অনিক নয়, অ্যাথলেট মোহাম্মদ সাইদ, তায়কোয়ান্দোর সান্ত্বনা রানীসহ এমন অনেক খেলোয়াড়েরই করোনার দুঃসময়ে আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় এই খেলোয়াড়দের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। 

ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ১ হাজার বাছাইকৃত দুস্থ খেলোয়াড়কে অর্থ সহায়তা করার কথা বলা হয়েছিল। প্রত্যেককে দেওয়ার কথা ১০ হাজার টাকা করে। বাছাইকৃত ১ হাজার খেলোয়াড়দের মধ্যে বিসিবির পক্ষ থেকে ২৩টি ফেডারেশনের ৫০১ জনকে দওেয়া হয়েছে ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর বাইরে কাল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও ১০০ জন খেলোয়াড়ের হাতে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়ছে। বাকি ৩৯৯ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ৩৯ লাখ টাকা ফেডারেশনের কাছ থকেে তালিকা পাওয়ার ভিত্তিতে ঈদের আগেই দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

হুইল চেয়ার বাস্কেটবল খেলোয়াড় ফাহিমা খাতুন চেক হাতে পেয়ে ভীষণ খুশি, 'এই দুঃসময়ে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছি এতেই আমরা খুশি। যদিও আমাদের হুইল চেয়ার বাস্কেটবলে মাত্র তিন জন খেলোয়াড় এই অনুদান পেয়েছি। আমাদের আরও খেলোয়াড় আছে। সবাই পেলে বেশি খুশি হতাম।'

আপাতত এক হাজার খেলোয়াড় সহায়তা পেলেও এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশ্বাস দিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, 'অসহায় খেলোয়াড়দের সহায়তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতেই উনি বলেছেন, তুমি উদ্যোগ নাও সব রকমের সহায়তা করা হবে। এরপরই আমরা দুস্থ খেলোয়াড়দের বাছাই করে প্রথম ধাপে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করি। তবে আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে কয়েকদিন আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছিলাম। তারা আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছে। ঈদেও পর আরও দুস্থ খেলোয়াড়দের আশা করি সাহায্য করতে পারব।'