রিয়ালে রোনালদোর মদপান সহ্য হয়নি তাঁর

রিয়াল মাদ্রিদে ক্যাপেলো-রোনালদোর দিনগুলো এমন বিপরীতমুখি ছিল। ছবি: টুইটার
রিয়াল মাদ্রিদে ক্যাপেলো-রোনালদোর দিনগুলো এমন বিপরীতমুখি ছিল। ছবি: টুইটার

নঞ্জপুঞ্জের একজন করে তাঁকে এনেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। হতাশ করেননি মোটেই। জিতেছেন লিগ, ১২৭ ম্যাচে ৮৩ গোল। রিয়ালে রোনালদোর পাঁচ বছরের সময়কে মন্দ বলার কোনো সুযোগই নেই।

ভ্রুকুটির কিছু নেই। এটা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পরিসংখ্যান না। এ রোনালদো ব্রাজিলের। ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার মানেই তো উল্কার মতো প্রতিভার সঙ্গে অঢেল নৈশপ্রীতির সমণ্বয়। দু-বার বিশ্বকাপজয়ী 'ফেনোমেনন' এ দুই ঘাট সামলে উঠে এসেছিলেন সেরাদের কাতারে। কিন্তু রিয়ালে শেষ দিকে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি রোনালদো।

ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির নৈশপ্রীতির নমুনা ইন্টার মিলান আগেই দেখেছিল। মাঠে যেমন প্রতিভার স্ফুরণ ছড়াতেন তেমনি পানশালাতেও গলায় ঢালতেন অঢেল। রিয়ালে আসার পরেও সে অভ্যাস ছিল। ফ্যাবিও ক্যাপেলো রিয়ালের কোচ হয়ে আসার পর সেখানে আর টিকতে পারেননি কিংবদন্তি এ স্ট্রাইকার। ২০০৬ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে রিয়ালের কোচ হন এ ইতালিয়ান। এরপর মাত্র ছয় মাস রিয়ালে টিকতে পেরেছেন রোনালদো। ২০০৭ সালের ১৮ জানুয়ারি এসি মিলানে যোগ দেন তিনি।

রোনালদোর বয়স তখন ৩০ বছর। ক্যাপেলো সে সময় রোনালদোকে কেন ছেড়ে দিয়েছিলেন তার অন্যতম একটি কারণই খোলাসা করেছেন স্কাই স্পোর্টস ইতালিয়াকে। তার আগে অবশ্য রোনালদোর প্রশংসাও করলেন কঠোর শৃঙ্খলার জন্য আলাদা করে পরিচিত ক্যাপেলো, 'আমি যাদের কোচিং করিয়েছি রোনালদো তাদের মধ্যে সেরা। কিন্তু একই সময়ে ড্রেসিং রুমে সে-ই সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি করেছে। সে পার্টি করে বেড়াত। একদিন নিস্তেলরুই বলল, কোচ ড্রেসিংরুমে প্রকট অ্যালকোহলের গন্ধ। এরপর সে এসি মিলানে চলে গেল। আর আমরাও জিততে শুরু করলাম। তবে যদি প্রতিভার কথা বলা হয় সে সবার সেরা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।'

ক্যাপেলো রিয়ালে আসার আগে বেশ বাজে সময় কাটাচ্ছিল মাদ্রিদের জায়ান্টরা। টানা কয়েক মৌসুম শিরোপাখরায় ছিল তারা।