ব্রডের ভাগ্যে মেয়েদের শৌচাগার

ইনস্টাগ্রামে এ ছবি পোস্ট করেছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ইনস্টাগ্রামে এ ছবি পোস্ট করেছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

করোনা মহামারির মধ্যেই জোর আলোচনা চলছে। ক্রিকেট মাঠে ফেরার পর তা কি আগের মতোই থাকবে? বলে লালা মাখানো নিয়ে বিতর্ক শেষ হয়নি। এর মধ্যে ইংল্যান্ড দলের অনুশীলন দেখলেও কিছুটা আন্দাজ পাওয়া ‍যায়। ক্রিকেট সম্ভবত আর আগের মতো থাকছে না।

জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখে অনুশীলন শুরু করেছে ইংল্যান্ড দল। অবশ্যই করোনা মহামারির মধ্যে বিধিনিষেধ মেনেই এই অনুশীলন। স্টুয়ার্ট ব্রড ইনস্টাগ্রামে তা নিয়ে বলতে গিয়েই মজার এক ছবি পোস্ট করেছেন।

সে কথায় পরে আসা যাবে। আগের ব্রডদের অনুশীলনের নিয়মগুলো জেনে নেওয়া যাক। অনুশীলনে আসার আগে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেছেন ব্রড। ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তাঁকে বাসাতেই থাকতে হবে। ব্রড তাঁর তাপমাত্রা ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ট্রেন্টব্রিজে অনুশীলন করেছেন এই ইংলিশ পেসার। অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস অনুশীলন করেছেন এজবাস্টনে। প্রায় ৪৫ মিনিট ঘাম ঝরান তারা। অনুশীলনের পোশাক পরে মাঠে আসতে হয়েছে তাদের। ড্রেসিং রুম দেওয়া হয়নি তবে সবার শৌচাগার আলাদা।
গাড়ি পার্কিংয়ের জন্যও রাখা ছিল আলাদা জায়গা। গাড়ি থেকে নেমে সোজা মাঠে যেতে হবে। নেটে বল করার পর তা কুড়িয়ে আনতে হয়েছে নিজেকেই। অনুশীলনের জন্য ৬টি বল নিজের, অনুশীলন শেষে তা নিয়ে যেতে হবে। তাতে লালা মাখানো যাবে না। দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য জিনিস জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার রাখার কথা বলা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর হাত ধুতে হবে অনুশীলনে আসা ক্রিকেটারদের।
নেটে বোলিংয়ের সময় ব্রডের সঙ্গে ছিলেন একজন মনোবিদ ও ক্যামেরাম্যান। ট্রেন্টব্রিজে সব ক্রিকেটারের জন্য আলাদা শৌচাগারের ব্যবস্থা রেখেছিল ইসিবি। নিজের এই শৌচাগারের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন ব্রড। আসলে মেয়েদের শৌচাগার! তার দরজায় নিজের নাম লেখা কাগজ ‍ঝুলিয়ে মজাও করেছেন এ পেসার।
শুরুতে ১৮জন বোলারকে ডেকেছে ইসিবি। ব্যাটসম্যান এবং উইকেটরক্ষকদের অনুশীলন ১ জুন থেকে।