সুয়ারেজের কামড়েও 'মাইন্ড করেননি' কিয়েলিনি

সুয়ারেজের কামড় খেয়েও কিছু মনে করেননি কিয়েলিনি । ফাইল ছবি
সুয়ারেজের কামড় খেয়েও কিছু মনে করেননি কিয়েলিনি । ফাইল ছবি

ফুটবল মাঠের সবচেয়ে বিখ্যাত কামড় এটি। এর আগেও প্রতিপক্ষকে কামড় দিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। কিন্তু বিশ্বকাপ যে অন্য মঞ্চ। ইতালির ডিফেন্ডার জর্জিও কিয়েলিনিকে সুযোগ পেয়ে কামড়ে দিয়েছিলেন এই স্ট্রাইকার। রেফারির চোখ এড়িয়ে যাওয়ায় ম্যাচে ঠিকই দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। কিন্তু এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে দুনিয়াজুড়ে। চার মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।

৬ বছর পেরিয়ে গেছে। তবু ২০১৪ বিশ্বকাপের কথা ওঠলে সুয়ারেজের কামড় আলোচনায় আসবেই। ওই ঘটনার ভুক্তভোগীর কাছে অবশ্য এই কাণ্ডের বাড়তি কোনো গুরুত্ব নেই। তাঁর কাছে মনে হয়েছে, ওই কামড় খেলারই অংশ। আত্মজীবনী 'ইন জর্জিও'তে লিখেছেন, 'সত্যি কথা হলো, আমি ওর এসব কাণ্ড শ্রদ্ধা করি। কারণ, ও যদি এসব না করে তাহলে সাধারণ খেলোয়াড় হয়ে যাবে। ২০১৪ বিশ্বকাপে বিস্ময়কর কিছুই হয়নি। আমি অধিকাংশ সময় এডিনসন কাভানিকে পাহারা দিয়েছি, আরেকজন কঠিন লোক। এবং সবাই নিজের সর্বোচ্চ দিয়েছি। হঠাৎ খেয়াল হলো আমার কাঁধে কেউ কামড় দিয়েছে। এটা হয়েছে, এটুকুই। শারীরিক দ্বন্দ্বে নামার সময় এটাই ওর রণকৌশলের অংশ, আমিও এমনটাই মনে করি।'

লড়াকু মনোভাব আর প্রতিপক্ষকে একবিন্দু ছাড় দিতে না চাওয়ার জন্য নোংরা লড়াইয়ে নামতে দ্বিধা করেন না সুয়ারেজ। এ কারণেই বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডকে সম্মান করেন কিয়েলিনি, 'সুয়ারেজ আর আমি একই ধরনের। আমি এমন স্ট্রাইকারের মুখোমুখি হতে পছন্দ করি। ওই ম্যাচের কদিন পর আমি ওকে ফোন করেছিলাম। আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনো দরকার ছিল না ওর। মাঠে আমিও ওর মতোই শয়তান এবং এ নিয়ে গর্ব করি। এমন দুষ্টুমি আর বদমায়েশি খেলারই অংশ, আমি একে প্রতারণা বলব না। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হলে বুদ্ধিমান হতেই হবে আপনাকে।'