ম্যাচ পাতানো নিয়ে যা বললেন তামিম

যারা দেশকে ভালোবাসে, তারা কখনোই ম্যাচ পাতাতে পারে না—বললেন তামিম। ফাইল ছবি
যারা দেশকে ভালোবাসে, তারা কখনোই ম্যাচ পাতাতে পারে না—বললেন তামিম। ফাইল ছবি
ম্যাচ পাতানো প্রসঙ্গে নিজের মত জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে আইসিসির সতর্কতার শেষ নেই। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব ধরনের তথ্য প্রতি সিরিজ বা টুর্নামেন্টের শুরুতে ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবু ম্যাচ ফিক্সিং থামছে না। কদিন আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে (এপিএল) ম্যাচ পাতানোর চেষ্টার অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৬ বছর নিষিদ্ধ হন আফগানিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান শফিকুল্লাহ শফিক। 

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসানও ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু আইসিসিকে না জানানোর কারণে এক বছর নিষিদ্ধ হন তিনি। পাঁচ বছর খেলার বাইরে ছিলেন আরেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। সম্প্রতি সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার রমিজ রাজার সাক্ষাৎকারে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকের কাছে ম্যাচ পাতানো প্রসঙ্গে তাঁর অভিমত জানতে চাওয়া হয়।

তামিম জানিয়েছেন, খেলা ও দেশের প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা থাকলে ম্যাচ পাতানোর মতো কাজ কারও পক্ষে করা সম্ভব না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আইসিসি যথেষ্ট করছে। আইসিসি সবাইকেই শেখাচ্ছে। আমরা সবাই জানি, প্রতিটি সিরিজ আমরা খেলছি, আমাদের এই ব্যাপারে শিক্ষা দেয় আইসিসি ও দুর্নীতি দমন ইউনিট। সুতরাং ক্রিকেটারদের জানা উচিত কী করা উচিত আর কী করা উচিত না। এর পরও যদি কেউ যদি জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা নেয়, তাহলে বিষয়টা ওই ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। যদি সে ক্রিকেট ভালোবাসে, দেশকে ভালোবাসে, খেলাটার প্রতি আবেগ কাজ করে, তাহলে আমার মনে হয় না কেউই এই কাজ করবে।’
ম্যাচ পাতানো প্রসঙ্গে বিসিবি ও বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তামিম। কিন্তু তামিম নিজেও জানেন, সব সময়ই ক্রিকেটারদের ভুল পথে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। তবে ফাঁদে পা দেওয়ার আগে ক্রিকেট খেলা শুরু করার আসল কারণটা একবার মনে করতে বললেন তামিম, ‘আমরা সবাই জানি আমাদের চারপাশে এই রকম মানুষ আছে। ওরা যেভাবেই হোক ফাঁদে ফেলতে চাইবে। তবে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। আপনাকে বুঝতে হবে আপনি আপনার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এক নম্বর ব্যাপার হলো, আপনি খেলা শুরু করেছেন কিন্তু খেলাটা পছন্দ করেন বলে। আর্থিক দিকটা আসে পরের দিকে। এটাও গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমাদের তো পরিবারের দেখাশোনা করতে হয়। তবে প্রথমবার যখন ব্যাট ধরি তখন টাকার কথা ভেবে ব্যাট ধরিনি। ব্যাট ধরেছি খেলার প্রতি ভালোবাসা থেকে। কোনো অনৈতিক কাজ করার আগে এটা মাথায় রাখতেই হবে।’