'আফ্রিদি, এ কেমন বন্ধুত্ব?'

পাকিস্তান জাতীয় দলে এমন সময়ও কেটেছে কানেরিয়া-আফ্রিদির। ছবি: এএফপি
পাকিস্তান জাতীয় দলে এমন সময়ও কেটেছে কানেরিয়া-আফ্রিদির। ছবি: এএফপি

সুযোগ পেলে শহীদ আফ্রিদিকে খোঁচা দিতে যে গৌতম গম্ভীর ছাড়বেন না সেটা জানা কথাই। খেলোয়াড়ি জীবনে শুরু হওয়া এই দুই ক্রিকেটারের সাপে নেউলে সম্পর্কটা এখনো সে রকমই আছে। সুযোগ পেলেই হলো—একজন নেমে পড়েন আরেকজনের সমালোচনায়।


তবে ভারত এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কথা বলায় আফ্রিদির সমালোচনায় গম্ভীরের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন হরভজন সিং, যুবরাজ সিং আর সুরেশ রায়নারাও। ভারত-বিরোধী কথা বলায় এবার আফ্রিদিকে ধুয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান জাতীয় দলে তাঁর সাবেক সতীর্থ দানিশ কানেরিয়াও।


'দ্বিমুখী'—আফ্রিদিকে এই অপবাদ দিয়েছেন পাকিস্তানের হয়ে ৬১টি টেস্ট খেলে ২৬১ আর ১৮টি ওয়ানডে খেলে ১৫ উইকেট নেওয়া সাবেক স্পিনার। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিং করার দায়ে ক্রিকেটে আজীবন নিষিদ্ধ কানেরিয়া ইন্ডিয়া টিভিকে বলেছেন, ‌'যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার আগে আফ্রিদির আগে ভাবা উচিৎ। সে যদি রাজনীতিতে যোগ দিতে চায় তাহলে ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলতে হবে।'


এখানেই থামেননি কানেরিয়া। এরপর বলেছেন, ‌'একজন রাজনীতিকের মতো কথা বলতে হলে আপনাকে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা উচিৎ। এই ধরনের বক্তব্য শুধু ভারতেই নয়, পুরো বিশ্বেই পাকিস্তানের ক্রিকেটের নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করে।'


এটুকু বলে থেমে গেলেও হতো। এরপর তো আফ্রিদিকে দ্বিমুখী বলে অপবাদই দিলেন পাকিস্তানের সাবেক লেগস্পিনার, ‌'সে (আফ্রিদি) তাদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছে। সাহায্য পাওয়ার পর ভারত ও তাদের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন কথা বলতে পারল! এটা কোন ধরনের বন্ধুত্ব?'


সম্প্রতি আফ্রিদি যুবরাজ সিংকে পাকিস্তানের করোনা আক্রান্ত দুস্থ মানুষদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছিলেন। কানেরিয়া এটিকেই সাহায্য চাওয়া-পাওয়া বুঝিয়েছেন। আর আফ্রিদির ভারত ও মোদী বিরোধী কথা বলার বিষয়? সম্প্রতি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গিয়ে তিনি সেটিও করেছেন। বলেছিলেন, 'পৃথিবী এখন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত। কিন্তু মোদীর মনে এর চেয়েও বড় রোগ বাসা বেঁধেছে।কাশ্মীরে তিনি ৭ লাখ সেনা মোতায়েন করেছেন।'