স্টিভ ওয়াহর 'খুলি উড়িয়ে' দিতে চেয়েছিলেন অ্যামব্রোস

ত্রিনিদাদ টেস্টে স্টিভ ওয়াহর প্রতি মারমুখি অ্যামব্রোস। তাঁকে টেনে থামাচ্ছেন রিচি রিচার্ডসন। ছবি: টুইটার
ত্রিনিদাদ টেস্টে স্টিভ ওয়াহর প্রতি মারমুখি অ্যামব্রোস। তাঁকে টেনে থামাচ্ছেন রিচি রিচার্ডসন। ছবি: টুইটার

‌'কার্টলি টকস টু নো ম্যান।'

খেলোয়াড়ি জীবনে তাঁকে নিয়ে কথাটা প্রচলিত ছিল। অবসর নেওয়ার পরেও নয় কী? বাইশ গজে কথা বলতেন কম, কাজ (পড়ুন বোলিং) বেশি। খেলা ছাড়ার পরও তো সংবাদমাধ্যমে তাঁকে দেখা যায় খুব কমই। কোচিং নিয়ে থাকায় তবু এ অঙ্গনে দেখা যায়। নইলে তো গিটার হাতে গানওয়ালা।

বলা হচ্ছিল কার্টলি অ্যামব্রোসের কথা। শুধু নিখুঁত লেংথ ও বাউন্সের জন্য না, মাঠে সবাই তাঁকে কেমন যেন সমীহ করতেন। ডিন জোন্সের (হাত থেকে সাদা রিষ্ট ব্যান্ড খুলে নেওয়া) সেই ঘটনা স্মরণ করেই হয়তো অ্যামব্রোসকে কেউ ঘাঁটাতে চাইত না। কিন্তু স্টিভ ওয়াহ অস্ট্রেলিয়ান হলেও অন্য ধাতুতে গড়া মানুষ। তাই অ্যামব্রোসকে একটু রগড়ে দিতে চেয়েছিলেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক।

নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন কোন ম্যাচের কথা বলা হচ্ছে। ১৯৯৫, ত্রিনিদাদ টেস্ট। মাঠে এমনিতে কখনো বাগযুদ্ধ করতে দেখা যায়নি অ্যামব্রোসকে। কিন্তু সেদিন ওয়াহকে এক হাত দেখে নিতে চেয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান পেস কিংবদন্তি। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক রিচি রিচার্ডসন এসে টেনে নিয়ে যান অ্যামব্রোসকে। এত দিন পর সে ঘটনা স্মরণ করলেন ক্যারিবীয়ান কিংবদন্তি।

স্কাই স্পোর্টস পডকাস্টে মাইকেল আথারটন ও নাসের হুসেইনের সঙ্গে পেস বোলিং নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন ৯৮ টেস্টে ৪০৫ উইকেট নেওয়া সাবেক এই পেসার। অহর্নিশ স্লেজিং করা বোলাররা আদতে ভালো বোলার না বলেই মনে করেন অ্যামব্রোস। ঘণ্টায় ৯০ মাইল গতি আর ভালো লাইন-লেংথ থাকলে স্লেজিং লাগে না, মনে করেন তিনি।

ওয়াহর সঙ্গে সেই বাগযুদ্ধ নিয়ে অ্যামব্রোস বলেন, ‌'ওয়াহর সঙ্গে আমার আগে থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। সে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। সম্মানও করি। কিন্তু ওই ম্যাচে সে এমন কিছু বলেছিল যা ভালো লাগেনি। ম্যাচের উত্তেজনায় এমন অনেক কিছুই বলা হয়। তখন পাত্তা দিইনি। বিরতির পর জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি এমন কিছু বলেছ, আমাকে? সে হ্যাঁ-ও বলেনি না-ও বলেনি। শুধু বলল, আমার যা খুশি বলতে পারি, যেটা আমি সম্মতি হিসেবেই ধরে নিই।এরপর মনে হলো কিছু বলা উচিত।'

অ্যামব্রোস বলেছিলেন, ‌'আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার হয়তো এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারে। তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু তোমার ক্যারিয়ারও এখানেই শেষ হবে। তোমার খুলি উড়িয়ে দেব, আর খেলতে পারবে না।'

সেই ঘটনার পর অ্যামব্রোসের সঙ্গে ওয়াহর বেশ কয়েকবার দেখা হয়। কিন্তু ওই ঘটনা নিয়ে দুজনের মধ্যে আর কথা হয়নি। অ্যামব্রোস এমনিতে স্লেজিং অপছন্দ করতেন। তাঁর মতে, পেসারদের আগ্রাসী মনোভাব শেখানো যায় না। এটা ভেতর থেকেই গড়ে ওঠে।