শোয়েবের বাউন্সারের ভয়ে চোখ বুজে ছিলেন টেন্ডুলকার

একটা সময়ে বেশি আলোচিত ছিল টেন্ডুলকার ও শোয়েবের দ্বৈরথ। ফাইল ছবি
একটা সময়ে বেশি আলোচিত ছিল টেন্ডুলকার ও শোয়েবের দ্বৈরথ। ফাইল ছবি

সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন শচীন টেন্ডুলকার। পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে তাঁর ব্যাটিং ছিল এক কথায় অনন্য। ক্যারিয়ারে গ্লেন ম্যাকগ্রা, শন পোলক, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতারদের মতো ফাস্ট বোলারদের খেলতে হয়েছে ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকটারকে। গতি, সুইং বা বাউন্সারের বিপক্ষে টেন্ডুলকারের ব্যাটিংয়ে খুব বেশি দুর্বলতা কেউ খুঁজে বের করতে পারেননি।

এই টেন্ডুলকারও নাকি ভয় পেতেন শোয়েব আখতারের বাউন্সারে! সম্প্রতি এমনই বলেছেন পাকিস্তানের আরেক ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আসিফ। স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে জেল নিষিদ্ধ হয়েছিলেন, খাটতে হয়েছে জেলও। এখন রয়েছেন দলের বাইরে। তবে একটা সময়ে এই আসিফকেই মনে করা হতো আকরাম-ওয়াকারদের যোগ্য উত্তরসূরি। দলের বাইরে থাকলেও ক্রিকেট নিয়ে কথা বলছেন আসিফ। তেমনই এক ক্রিকেটীয় আড্ডায় তিনি বলেছেন, শোয়েবের বাউন্সারে ভয় পেয়ে চোখ বুঝে ছিলেন টেন্ডুলকার!

২০০৬ সালে করাচি টেস্টের কথা বলেছেন আসিফ। যেটি ছিল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। ওই ম্যাচে ভারতের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ইরফান পাঠান। সেই ম্যাচের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আসিফ বলেছেন, ‌'ম্যাচের শুরুতেই ইরফান পাঠান হ্যাটট্রিক করল। আমরা মানসিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়লাম। পরে আবার নিচের দিকে নেমে কামরান আকমলের সেঞ্চুরি পেল। আমরা ২৪০ মতো রান করেছিলাম।'

এরপর এল ভারতের প্রথম ইনিংসের পালা। যেটি মনে হলো এখনো যেন খুশি খুশি লাগে আসিফের, ‌'শোয়েব আখতার এক্সপ্রেস গতিতে বোলিং করেছিল সেই ম্যাচে। মনে আছে, আমি স্কয়ার লেগে ফিল্ডিং করছিলাম, আম্পায়ারের কাছাকাছি। আমি নিজে দেখেছি, শোয়েবের দুটি বাউন্সার মোকাবেলা করতে গিয়ে চোখ বুঝে ফেলেছিল টেন্ডুলকার। আমরা ওদের ২৪০ রানও করতে দিতে চাইনি। হারতে গিয়ে সেই ম্যাচটি জিতেছিলাম আমরা।'

২০০৬ সালের করাচি টেস্টে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান অলআউট হয়েছিল ২৪৫ রানে। তবে ভারতে আটকে দিয়েছিল ২৩৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫৯৯ রান করে স্বাগতিকেরা। ভারতকে ২৬৫ রানে আউট করে দিয়ে ম্যাচটি জিতেছিল ৩৪১ রানে। ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন আসিফ।