জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সাবেক ফুটবলার হেলাল

হাসপাতালে গোলাম রাব্বানী হেলাল।
হাসপাতালে গোলাম রাব্বানী হেলাল।

হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার গোলাম রাব্বানী হেলাল। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হলে আজ বেলা সাড়ে ১১ টায় তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তাঁর ভাইয়ের ছেলে গোলাম কাইফি আজ প্রথম আলোকে বলেন, 'চাচা স্ট্রোক করেছেন। অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। এত রক্তক্ষরণ হয়েছে যে, অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয় বলেছেন ডাক্তারা। তাঁরা এও বলেছেন, চাচার ফিরে আসার সম্ভাবনা কম। বিদেশে বা অন্য কোনো হাসপাতালে নেওয়ারও সুযোগ নেই। তাই এখন প্রার্থনা করা ছাড়া উপায় নেই।'

গোলাম কাইফি জানান, রক্তক্ষণের পর বাসা থেকে যখন বের করা হয় তাঁকে, তখন বমি করেন। হাসপাতালে আসার পর একটু হাত পা নাড়লেও এখন পুরোপুরিই অচেতন। কৃত্রিমভাবে তাঁকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ। কিডনি সমস্যায় ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। সেই থেকে ডায়ালাইসিস চলছিল ৬৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারের।

বরিশাল থেকে উঠে আসা গোলাম রাব্বানী হেলাল ১৯৭৫-১৯৮৮ পর্যন্ত ঢাকা আবাহনীর চেনা মুখ ছিলেন। মাঝে আড়াই মাস বিজেএমসিতে কাটানো ছাড়া ক্যারিয়ারে পুরো সময়ই ছিলেন আবাহনীতে। খেলা ছেড়ে আবাহনীর পরিচালক হয়েছেন। একই ক্লাবের ফুটবল দলের নানা দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৭৮ সালে ঢাকায় এশীয় যুব ফুটবল দিয়ে জাতীয স্তরে খেলা শুরু। মূল জাতীয় দলে খেলা শুরু ১৯৭৯ সালে। মাঝে বিরতি পড়লেও খেলেছেন ১৯৮৫ পর্যন্ত। ১৯৭৮ লিগে ওয়ারীর কাছে দুবার হেরেছিল আবাহনী। পরের বছরই সেই ওয়ারীর ডানা ছেঁটে দেন হেলাল। হ্যাটট্রিক করেন ওয়ারীর বিপক্ষে। ১৯৮২ সালে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে গোলমালের সূত্র ধরে আবাহনীর যে চার ফুটবলারকে জেলে নেওয়া হয় গোলাম রাব্বানী হেলাল তাঁদেরই একজন। বাকি তিনজন কাজী সালাউদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু ও কাজী আনোয়ার। হেলাল বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য হন ২০০৮ সালে।