আবারও সবচেয়ে দামি ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ

ইউরোপের সবচেয়ে দামি ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: টুইটার
ইউরোপের সবচেয়ে দামি ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: টুইটার

২০১৮–১৯ মৌসুমটা পারলে ভুলে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই বিদায় নিয়েছিলেন তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো কোচ জিনেদিন জিদান। কদিন পরেই সে পথে হেটেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সে ধাক্কা সামলাতে না পেরে মৌসুমের তিনটি প্রতিযোগিতা থেকেই মার্চের মধ্যে ছিটকে গেছে তারা। মাঠের এমন পারফরম্যান্স অবশ্য কোনো প্রভাব ফেলেনি রিয়ালের আর্থিক দিকটাতে। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপের সবচেয়ে মূল্যবান ফুটবল ক্লাব হয়েছে রিয়াল।

বিখ্যাত আর্থিক পরামর্শ দাতা প্রতিষ্ঠান কেপিএমজি প্রতি বছর ইউরোপিয়ান এলিট প্রকাশ করে। একটি ক্লাবের আয়, জনপ্রিয়তা, প্রতিশ্রুতি, সম্প্রচার স্বত্ত্ব, ও স্টেডিয়ামের আকার ও সাফল্য-সবকিছু বিবেচনা করে ক্লাবের মূল্য নির্ধারণ করে কেপিএমজি। ইউরোপিয়ান এলিট ২০২০ অনুযায়ী ৩৪৭ কোটি ৮০ লাখ ইউরো মূল্য নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। ১৩ কোটি ৬০ লাখ ইউরো কম মূল্য নিয়ে দুইয়ে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রিয়াল মাদ্রিদের মতো তারা নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে ২০১৯ সালে চারে থাকা বার্সেলোনা এবার উঠে এসেছে তিনে। রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের মূল্য হিসেব করে পাওয়া গেছে ৩১৯ কোটি ৩০ লাখ ইউরো। আর গত বছরের চেয়ে ক্লাবের মূল্য ৭ ভাগ বাড়ার পরও চারে নেমে গেছে বায়ার্ন মিউনিখ (২৮৭ কোটি ৮০ লাখ ইউরো)।

চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর প্রিমিয়ার লিগেও দাপুটে শুরুর ফল পেয়েছে লিভারপুল। ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসিকে টপকে এখন পাঁচে আছে ইয়ুর্গেন ক্লপের ফদল (২৬৫ কোটি ৮০ লাখ ইউরো)। সিটির মূল্য লিভারপুলের চেয়ে ৫ কোটি ২০ লাখ ইউরো কম পেয়েছে কেপিএমজি। আর চেলসি অনেকটা ব্যবধানে পিছিয়ে আছে সাতে। শীর্ষ দশে মাত্র দুটি ক্লাবের মূল্য কমেছে। ২২১ কোটি ৮০ লাখ ইউরো মূল্যের চেলসি তাদের একটি। আট ও নয়ে আছে টটেনহাম (২০৬ কোটি ৭০ লাখ) ও পিএসজি (১৯১ কোটি ১০ লাখ)। নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মতোই মূল্য কমেছে দশে থাকা আর্সেনালেরও (১৮৫ কোটি ২০ লাখ ইউরো)। ওদিকে রোনালদো, দিবালাদের নিয়েও শীর্ষ দশ থেকে ছিটকে গেছে জুভেন্টাস (১৭৩ কোটি ৫০ লাখ ইউরো)।