আফ্রিদির ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে খোঁচা শোয়েবের

এই ছবির সূত্র ধরেই শুরু হয়েছে খোঁচাখুঁচি। ছবি: টুইটার
এই ছবির সূত্র ধরেই শুরু হয়েছে খোঁচাখুঁচি। ছবি: টুইটার

মাঝে কিছুদিন চুপচাপ দেখা গেছে শোয়েব আখতারকে। ইউটিউব ও হেলো অ্যাপের লাইভে নিয়মিত আলোচনার ঝড় তোলা শোয়েব আইসিসির এক টুইট নিয়ে সর্বশেষ আলোচনায় এসেছিলেন। তারপর একটু ঝিমিয়ে পড়েছিলেন হয়তো। তাঁকে আবার জাগিয়ে তুললেন শহীদ আফ্রিদি। জাগিয়ে তোলার পুরস্কার হিসেবে খোঁচাও খেলেন একটু।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আফ্রিদি ও শোয়েবের একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি দিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, 'এটা কোন বছরের ছবি অনুমান করুন।' সে ছবি দেখে লোভ সামলাতে পারেননি শহীদ আফ্রিদি। নিজের ব্যস্ত সূচির মাঝেও সময় বের করে মন্তব্য করেছেন, দারুণ স্মৃতি। আমার মনে হয় এটা আমার অন্যতম প্রিয় এক টেস্ট ইনিংসের পর।

২০০৬ সালে লাহোরে ভারতের বিপক্ষে এক ম্যাচে। শোয়েব ব্যাটসম্যানদের জন্য সব সময়ই ত্রাস ছিল। কিন্তু এটা খুবই ব্যাটিং সহায়ক এক উইকেট ছিল। বোলারদের তাই নিজেদের মধ্যে রসিকতা করেই সে ব্যাথা ভুলতে হচ্ছিল।


আফ্রিদি যে ম্যাচের কথা বলছেন, সেটা যেকোনো বোলারই ভুলে যেতে চাইবেন। লাহোরে ৭ উইকেটে ৬৭৯ রান তুলেছিল পাকিস্তান। এতে ৮০ বলে সাত চার ও সাত ছক্কায় আফ্রিদির ১০৩ রান বেশ ভালো ভূমিকাই রেখেছিল। জবাবটা অবশ্য ভারতও বেশ কড়া দিয়েছিল। মাত্র ৪ রানের জন্য সে সময়কার উদ্‌বোধনী জুটির বিশ্ব রেকর্ড করতে পারেনি ভারত। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে ৪১০ রান তোলার পর আউট হন বীরেন্দর শেবাগ (২৫৪)। ম্যাচটা সেখানেই শেষ হয়।

এমন উইকেটে বোলারদের করার কিছু না, সেটা স্বীকার করে শোয়েবের প্রশংসাই করেছেন আফ্রিদি। কিন্তু এমন প্রশংসার জবাবে উল্‌টো খোঁচা দিয়েছেন শোয়েব, 'তোমার ভালো সুবিধা ছিল। যেদিন ইচ্ছা হতো নিজেকে বোলার বলতে, যেদিন সুযোগ থাকত বলতে ব্যাটসম্যান। এ ছবিতে নিজেকে ব্যাটসম্যান বলবে যেহেতু সেঞ্চুরি পেয়েছ। আমি তো বোলারই ছিলাম সেদিনের এই বোলারদের গোরস্তানে।'