নতুন নিয়মে বার্সেলোনার অসুবিধা দেখছেন কোচ

লিগে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনা নতুন নিয়মে খুশি নয়। ছবি: বার্সেলোনা টুইটার
লিগে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনা নতুন নিয়মে খুশি নয়। ছবি: বার্সেলোনা টুইটার

করোনাভাইরাস পরবর্তী বিশ্ব কেমন হবে? 


এখনই এ আলাপে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ, তবে ফুটবলবিশ্ব এর মধ্যেই করোনার আঁচ পেতে শুরু করেছে। মাস্ক পরে ফুটবলাররা অনুশীলনে আসছেন। দলীয় অনুশীলনে একজনের কাছ অন্যজন দূরত্ব বজায় রাখছেন। শূন্য গ্যালারি দর্শকের কাটআউট দিয়ে ভরে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে জার্মানির ক্লাব বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখ। দর্শকদের রেকর্ড করা চিৎকার মাঠে বাজিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে চলেছে ক্লাবগুলো।


তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত খুব সম্ভবত খেলোয়াড় বদলি নিয়ে নেওয়া হয়েছে। করোনাপরবর্তী সময়ে চলতি মৌসুমে যেকোনো ফুটবল ম্যাচে সর্বোচ্চ তিনজন নয়, বরং পাঁচ ফুটবলার বদল করা যাবে। করোনাভাইরাস পরবর্তী পরিস্থিতিতে মৌসুম সময়মতো শেষ করতে হলে অল্প সময়ের ব্যবধানেই ম্যাচ খেলতে হবে ফুটবলারদের। এ অবস্থায় ফুটবলারদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে প্রচলিত তিন বদলির পরিবর্তে পাঁচজন ফুটবলার নামানোর প্রস্তাব দেয় ফিফা। ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি)। স্প্যানিশ লিগ এরই মাঝে এই পরিবর্তনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। আর নতুন এই নিয়মের ফলে নিজেদের ক্ষতিই দেখছেন বার্সেলোনার কোচ কিকে সেতিয়েন।

সেতিয়েন মনে করেন, পাঁচজন খেলোয়াড় বদলির এই নিয়মে ম্যাচের শেষ মূহুর্তে গিয়ে জেতার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের। কেননা, অনেক সময়েই মেসিরা ক্লান্ত প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়ে ম্যাচের শেষ মূহুর্তে গোল করে জিতে যান। নতুন নিয়মে এটা করা কষ্টকর হবে বলে মনে করছেন সেতিয়েন, 'আমার মনে হয় পাঁচ বদলির এই নিয়মে আমাদের ক্ষতিই হবে। কেননা এর ফলে ম্যাচের শেষদিকে আমাদের প্রতিপক্ষরা মাঠ থেকে ক্লান্ত খেলোয়াড়দের উঠিয়ে নিয়ে নতুন খেলোয়াড় নামাতে পারবে। নতুন খেলোয়াড়েরা স্বাভাবিকভাবেই ফিট থাকবে আরও বেশি।'

লাস পালমাসের এক কোচিং স্কুল কর্তৃক আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে ঘন ঘন ম্যাচ খেলার কারণে ফুটবলারদের ক্রমাগত চোটে পড়ার ব্যাপারেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বার্সা কোচ, 'অল্প সময়ে অনেক বেশি ম্যাচ খেলতে হবে আমাদের। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এটা খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব ফেলবে। আশা করব এই চোটের মাত্রাটা যেন সীমিত পরিসরে থাকে। আমরা বলতে গেলে গত দুই মাস ঘরের সোফার ওপরেই বসে আছি। নিয়মিত অনুশীলন করছি না। ফলে হুট করে অনেক ম্যাচ খেললে চোটে পড়াই স্বাভাবিক।'



এতকিছুর পরেও লিগ শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী এই কোচ, 'আমাদের হাতে এগারোটা ম্যাচ আছে এবং আমাদের প্রত্যেক ম্যাচই জেতার জন্য চেষ্টা করতে হবে।'
তবে এ বদল শুধুমাত্র চলতি মৌসুম অর্থাৎ ২০১৯-২০ মৌসুমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এখন পর্যন্ত ২০২০-২১ মৌসুমে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত আসেনি। আর পাঁচটি বদল করা যাবে ঠিকই, তবে তা করতে হবে তিনবারেই। অর্থাৎ একটি দল পাঁচ খেলোয়াড় বদলের জন্য পাঁচবার খেলা থামাতে পারবে না। আগের মতো সর্বোচ্চ তিনবারেই খেলোয়াড় বদল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একবারে একাধিক খেলোয়াড় বদল করতে হবে অন্তত একবার।