মেসি-রোনালদোর পাশে ডিয়েগো কস্তা

মাঠে ফেরার আগে মাঠের বাইরের ঝামেলা সামলে নিতে হবে কস্তাকে। ছবি: টুইটার
মাঠে ফেরার আগে মাঠের বাইরের ঝামেলা সামলে নিতে হবে কস্তাকে। ছবি: টুইটার

শিরোনাম দেখে ধন্দে পড়ে গেলেন, তাই তো?


যতই কার্যকরী স্ট্রাইকার হন না কেন, ফুটবলীয় দিক দিয়ে কোনোভাবেই মেসি-রোনালদোর কাতারে ডিয়েগো কস্তাকে রাখা যায় না। আয়-উপার্জনের দিক দিয়েও না। তবে কোন কারণে মেসি-রোনালদোর পাশে এসেছেন কস্তা? এই তিন তারকাকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে কর ফাঁকির অভিযোগ।



শুধু মেসি বা রোনালদোই নন। কর ফাঁকির এই বদভ্যাস থেকে মুক্তি পাননি ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী স্ট্রাইকার রোমারিও, আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার হাভিয়ের মাচেরানো ও অ্যানহেল ডি মারিয়া, সাবেক কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা, জার্মানির সাবেক স্ট্রাইকার উলি হোয়েনেস, বিখ্যাত কোচ হোসে মরিনহো, সময়ের সবচেয়ে বড় ব্রাজিল-তারকা নেইমার, আফ্রিকান কিংবদন্তি স্যামুয়েল ইতো, কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার রাদামেল ফালকাও প্রমুখ।


জানা গেছে, এই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন কস্তাও। আগামী মাসের চার তারিখে কর ফাঁকির মামলায় আদালতে হাজির হবেন কস্তা। লা লিগায় নিজেদের ম্যাচের ঠিক এক সপ্তাহ আগে এমন যন্ত্রণা বোধহয় চাননি অ্যাটলেটিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনে!


মামলা অনুযায়ী, চেলসি থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে আসার পর তারকা ইমেজস্বত্ব বাবদ দশ লাখ ইউরোর (প্রায় সাড়ে নয় কোটি টাকা) বেশি কর ফাঁকি দিয়েছেন কস্তা। সাড়ে ৫১ লাখ ইউরো (প্রায় ৪৯ কোটি টাকা) আয়ের কোনো হদিস দিতে পারেননি এই স্প্যানিশ তারকা।


অপরাধ প্রমাণিত হলে স্পেনের প্রসিকিউটররা তাঁকে পাঁচ লাখ ইউরো (প্রায় চার কোটি ৭১ লাখ টাকা) জরিমানা ও ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন। তবে সহিংস অপরাধ না করলে স্পেনের আইনে দুই বছরের নিচে কারাদণ্ড হলে সাজা খাটতে হয় না। সে হিসেবে হয়তো শুধু জরিমানা দিয়েই পার পেয়ে যাবেন কস্তা। সে জন্য তাঁকে আরও বাড়তি ৩৬ হাজার ৫০০ ইউরো (প্রায় ৩৫ লাখ টাকা) জরিমানা গুণতে হবে।


এর আগে কর ফাঁকি দেওয়ার মামলায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল স্পেনের আদালত। ২০১৭ সালের জুনে রোনালদো স্পেনের কর কর্তৃপক্ষকে ১৪ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা দিয়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ অবশ্য সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিল। ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে নিজের ছবির স্বত্ব বিক্রি করে যে আয় করেছিলেন, তার করটা না দেওয়াতেই রোনালদোর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়। তবে ১.৮ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা দিতে হলেও তাঁকে কারাভোগ করতে হয়নি।


ওদিকে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকার কর ফাঁকির মামলা। স্পেনের আদালত তাঁকে ২১ মাস কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ইমেজ স্বত্বের অর্থ থেকে ৪.১৬ মিলিয়ন ইউরো কর ফাঁকি দিয়েছিলেন ছয়বারের ব্যালন ডি'অরজয়ী মেসি।