বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাবের পকেট ফাঁকা!

দলে নতুন সদস্য আনার উপায় খুঁজছে রিয়াল। ফাইল ছবি
দলে নতুন সদস্য আনার উপায় খুঁজছে রিয়াল। ফাইল ছবি

দুইদিন আগেই বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবল ক্লাব হিসেবে ঘোষিত হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের নাম। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ম্যানচেস্টার ইইউনাইটেড ও বার্সেলোনাকে পেছনে ফেলে ফুটবলের সবচেয়ে মূল্যবান ক্লাবের মুকুট পড়েছে ইউরোপের সফলতম দল। সেই রিয়াল মাদ্রিদ কি না অর্থাভাবে সামনের দলবদলে কাউকে কিনবে না!


করোনা সংক্রমণ কাল সবচেয়ে ভালোভাবে সামলানো কয়েকটি ক্লাবের একটি রিয়াল মাদ্রিদ। অনেক বড় ক্লাবই লকডাউন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খেলোয়াড়দের বেতন কাটতে বাধ্য হয়েছিল। বার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মতো ক্লাবের খেলোয়ারোদের বেতন ৭০ ভাগ কমাতে হয়েছিল। জুভেন্টাসের সব ফুটবলার ও কোচ তো চার মাসের বেতনই নেননি ক্লাবকে আর্থিক দেনার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য। সে তুলনায় রিয়াল মাদ্রিদ শুরুতে কোনো বেতন কাটেনি। পরে লকডাউন দীর্ঘস্থায়ী হলে সর্বোচ্চ ১০ ভাগ বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের ব্যবসায়িক দূরদর্শিতা ফুটে উঠেছে কেপিএমজি প্রকাশিত এলিট ২০২০ প্রকাশনাতেও। খেলোয়াড় মূল্য, টিভি স্বত্বর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পিছিয়ে থাকলেও সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার কারণে টানা দ্বিতীয়বারের মরো ইউরোপের সবচেয়ে দামি ক্লাব হয়েছে তারা। সেই রিয়ালই নাকি ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আগামী দলবদলে খেলোয়ার কিনতে পারবে না!


রিয়ালের স্কোয়াডে দুটি ঘাটতি রয়েছে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে কাসেমিরোর বিকল্প কেউ নেই। আর আক্রমনে গোলভরসাও নেই। এ দুই ঘাটতি পূরণে রেনের এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও ডর্টমুন্ডের আরলিং হরলান্ডকে মনে ধরেছিল তাদের। সঙ্গে পিএসজির কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে আনার ইচ্ছে তো তাঁদের বহুদিনের। কিন্তু স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা জানিয়েছে, আগামী দলবদলে তাঁদের কেনা কঠিন হবে রিয়ালের পক্ষে। আগামী মৌসুমেও ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলতে হতে পারে ইউরোপের ক্লাবগুলোকে। এ অবস্থায়, ম্যাচ টিকিট ও স্টেডিয়ামের বিভিন্ন স্মারক থেকে আয়ের সুযোগ হারাচ্ছে রিয়াল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ১৫ কোটি ইউরো আয় থেকে বঞ্চিত হবে তারা। গত কয়েক বছরের বুদ্ধিদীপ্ত বিনিয়োগ ক্লাবটিকে করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচালেও, আগামী মৌসুমগুলোতে টিকে থাকতে হলে বাড়তি খরচ করার উপায় নেই।


মার্কা আরও জানিয়েছে, এরই মাঝে সম্ভাব্য যে ফুটবলারদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিল তাদের এ কথা জানিয়ে দিয়েছে রিয়াল। এটাও বলেছে, সম্ভব হলে ২০২১ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, আর না হলে চাইলে অন্য ক্লাবের সঙ্গেও কথা বলে রাখতে পারে তারা। নিজেদের হাতে থাকা খেলোয়াড় বিক্রি করে আয় বাড়ানোর চেষ্টা চালাবে রিয়াল। স্কোয়াডে সব মিলিয়ে ৪০ জন ফুটবলার আছে স্প্যানিশ ক্লাবের। কিন্তু যাদের বিক্রি করতে সবচেয়ে আগ্রহী রিয়াল, সেই হামেস রদ্রিগেজ ও গ্যারেথ বেলের বেতন এই করোনা পরবর্তী সময়ে অধিকাংশ ক্লাবই বহণ করতে পারবে না। ব্রাহিম দিয়াজদের মতো প্রতিশ্রুতিশীলদের অনেক চেষ্টায় দলে এনে এখন ছাড়তেও রাজি নয় রিয়াল। ফলে আগামী মৌসুমে নিষ্প্রাণ দলবদলের জন্য প্রস্তুতি সেরে রাখছেন জিনেদিন জিদান।