'ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আম্পায়ারিং করা ভীতিকর অভিজ্ঞতা'

দুই দলের ক্রিকেটারের চেয়েও গ্যালারি নিয়েই বেশি চিন্তিত থাকতেন গোল্ড। ফাইল ছবি
দুই দলের ক্রিকেটারের চেয়েও গ্যালারি নিয়েই বেশি চিন্তিত থাকতেন গোল্ড। ফাইল ছবি

সাবেক এই ইংলিশ ক্রিকেটার আম্পয়ার হিসেবেই বেশি পরিচিত। কিছুদিন আগেই নিজের দ্বিতীয় ভূমিকা থেকেও অবসর নিয়েছেন ইয়ান গোল্ড। অবসরের পর অনেক বিতর্কিত বিষয় নিয়েই মুখ খুলেছেন। ২০১১ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শচীন টেন্ডুলকারকে আউট দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনো সঠিক বলে মনে করেন সেটাও জানিয়েছেন। এবার বললেন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আম্পায়ারিং করার অভিজ্ঞতা নিয়ে।

ক্যারিয়ারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়েছিল গোল্ডের। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনালে দাঁড়ানো অভিজ্ঞতাও হয়েছে। কিন্তু যখন আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আতঙ্কের কথাই জানিয়েছেন গোল্ড।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বলেছেন, 'এটা ভীতিকর। খেলোয়াড়েরা নয়। দুই দলের খেলোয়াড় অসাধারণ ছিল। আমি সাত কিংবা আটটা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে দাঁড়িয়েছি এবং সব খেলোয়াড়ই ভালো মানুষ। সবাই একে অপরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখে। কিন্তু দর্শকের কথা মাথায় আনলেই বিপদ। এত আওয়াজ, মেক্সিকান ওয়েভ, এতকিছু আপনার মনোযোগ সরিয়ে দিতে পারে।'


আর একবার মনোযোগ বিঘ্ন হলেই যে বিপদ সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অবসর থেকে ফেরা গোল্ড, ''তখনই আপনি ছোটখাট জিনিস চোখ এড়িয়ে যাবে। এবং সেটা খুবই ভয়ংকর। গত বছর বা তার আগের বছর আমাদের দুজন বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচে ছিল। দুই দলে একজন পেসারও ছিল না। সেটা নিশ্চিত খুব কঠিন ছিল।' স্পিন বান্ধব উইকেটে এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব সমস্যায় পড়েন আম্পায়াররা। সে কারণেই হয়তো মনোযোগ ধরে রাখার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার টেস্ট ম্যাচের কথা টেনেছেন গোল্ড।

গোল্ড যে ম্যাচে কথা বোঝাতে চেয়েছেন সেটা ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির মিরপুর টেস্ট। তবে সে টেস্টে দুই দলেই একজন করে পেসার ছিলেন। শ্রীলঙ্কার স্পিনে কাবু হওয়া সে ম্যাচে বাংলাদেশ দলে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। আর শ্রীলঙ্কা দলে সুরঙ্গা লাকমাল।