বর্ণবাদের বিপক্ষে সরব হলেন মেসিরাও

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাব। ফাইল ছব
জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাব। ফাইল ছব
>বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে তোলপাড় চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে যা স্পর্শ করেছে বিশ্বের সকল মানুষকে। বাদ পড়েননি ফুটবলাররাও। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সে বিক্ষোভে সুর মেলালো বার্সেলোনা

দোষ না থাকা সত্ত্বেও শুধু 'কৃষ্ণাঙ্গ' হওয়ার অপরাধে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের কাছে প্রাণ হারিয়েছেন সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় জর্জ ফ্লয়েড। মানবতাবিরোধী খবরটা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো ফুঁসে উঠেছে আমেরিকানরা। ক্ষিপ্ত হয়েছে বিশ্ববাসী।

ক্রীড়াতারকারাই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন? গত কয়েক দিনে জর্জ ফ্লয়েডের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, জাডন সাঞ্চো, কোকো গফ, লেব্রন জেমস, মার্কাস থুরাম, ওয়েস্টন ম্যাকেনির মতো ক্রীড়াতারকারা। এবার চলমান আন্দোলন সমর্থন করে মুখ খুলল স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনাও। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়েছে তাঁরা। যেখানে বলা হয়েছে, 'বর্ণবাদ হল এক ধরণের বৈষম্য, যা মূলত লিঙ্গ, জন্ম, চামড়ার রঙের ওপর ভিত্তি করে মানুষকে হেয় করার কাজে ব্যবহার করা হয়। এটা এমন এক মহামারি যা আমাদের সবাইকে আঘাত করেছে। বার্সেলোনায় সব সময় এই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়েছে ও হবে। এ লড়াই আমরা থামাব না। এটা আমাদের অঙ্গীকারও বটে।'

গত ২৫ মে মিনিয়াপোলিসের শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিন জর্জ ফ্লয়েডের মাথায় হাঁটু চেপে ধরে তাঁকে মেরে ফেলেন। শভিনের বিরুদ্ধে আনা চার্জে লেখা, ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ওভাবে ফ্লয়েডের মাথায় হাঁটু চেপে রেখেছিলেন শভিন, এর মধ্যে ২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড ছিল ফ্লয়েড নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার পর! ফ্লয়েডের হাতে তখনই হ্যান্ডকাফ পরা ছিল, পুলিশের নির্দেশনা মেনে মাথা মাটির দিকে রেখে মাটিতে শুয়েই ছিলেন তিনি। তবু শভিনের ওভাবে হাঁটু দিয়ে মাথা চেপে ধরা। ঘটনার সময়ে আশপাশের মানুষের ধারণ করা ভিডিওতে প্রকাশ পায়, ফ্লয়েড বারবার বলছিলেন, 'আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।'

পুলিশের কথা, ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ ছিল। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু পাশের এক রেস্টুরেন্টের সারভেইলেন্স ভিডিওতে দেখা যায়, ফ্লয়েডকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দুবার পড়ে গিয়েছিলেন।

এ ঘটনার ভিডিও স্থানীয় এক টিভিতে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতেই ফুঁসে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে মানবাধিকারবিরোধী কাজের অভিযোগ তো সব সময়ই থাকে। সেটি এখন যেন চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে।