কোহলিকে দেখে লজ্জা পেতেন তামিম

>ফিটনেস নিয়ে বিরাট কোহলির  কঠোর পরিশ্রম দেখে লজ্জা পেতেন তামিম ইকবাল।

 তামিম ইকবালের আফসোসটা অনেকদিনের। অনুশীলনের ফাঁকে আড্ডায় আড্ডায় অনেকদিনই আফসোস করেছেন, 'আরও আগে কোন বুঝলাম না!' ফিটনেস নিয়ে কাজ করলে নিজের খেলা এতটা বদলে যাবে, সেটি তামিমের জানা ছিল না। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে দেখেই চোখ খুলেছে।তামিমের ফিটনেসে পরিবর্তন আসে কোহলির কারনেই।

 ২০১৫ সালেও অতিরিক্ত প্রায় ৯ কেজি ওজন নিয়ে খেলতেন তামিম। ওজন কমিয়েই ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মের দেখা পান ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। সেজন্য ধন্যবাদটা তিনি কোহলিকেই দিতে চান। কোহলির ফিটনেস দেখে নাকি লজ্জা পেতেন তামিম। আর সে লজ্জা থেকেই আসে নিজেকে বদলে ফেলার তাড়না।

 সম্প্রতি ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, 'আমার এটা বলতে কোনো লজ্জাই নেই যে, ২-৩ বছর আগে যখন আমি বিরাট কোহলিকে দেখতাম সে জিমে কাজ করছে, রানিং ও অন্য সবকিছু করছে, নিজেকে নিয়ে লজ্জা লাগত আমার। মনে হতো, কোহলি তো আমারই বয়সী, সে এতো কিছু করে সাফল্য পাচ্ছে, আমি হয়তো অর্ধেকও করছি না। তাঁর পর্যায়ে যেতে না পারি, অন্তত তার পথ তো অনুসরণ করার চেষ্টা তো করতে পারি। হয়তো তাঁর ৫০ ভাগ, ৩০-৪০ বা ৬০ ভাগ হতে পারব।'

 কোহলিকে দেখে শুধু তামিম নন, পুরো ভারতীয় উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যেই ফিটনেস নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটারও এখন ফিটনেস সচেতন। তামিম মনে করেন, ভারত প্রতিবেশি দেশ হওয়ার কারনেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাধ্যমে প্রভাবিত হচ্ছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা, 'ভারত যেহেতু আমাদের প্রতিবেশী দেশ, আমরা তাদের অনেক কিছুই অনুসরণ করি। ভারতীয় দল যখন ফিটনেসের দিক থেকে বদলাতে শুরু করল, সেটিই বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে।'

 দেশের বাইরে যদি কোহলি হন উদাহরণ, তাহলে বাংলাদেশে আছেন মুশফিকুর রহিম। তামিম বলছিলেন, 'আমাদের দলেও দারুণ একজন উদাহরণ আছে, মুশফিকুর রহিম। আমি তাঁর ক্রিকেটীয় দিকে যাব না, ফিটনেসের দিক থেকে সে নিজেকে যেভাবে সামলায়, সেটা বলছি। সে এমন একজন, যাকে অনুসরণ করা যায়। হ্যাঁ, বিরাট কোহলি অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তবে মুশফিকও অনেক তরুণ ক্রিকেটারের আদর্শ হতে পারে।'