করোনা সামলাতে ১৮৬৩ কোটি টাকার লোন

অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই বড় ধাক্কা লেগেছে। ছবি: রয়টার্স
অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই বড় ধাক্কা লেগেছে। ছবি: রয়টার্স

বিশ্ব অর্থনীতিই বড় ধাক্কা খেয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে দেশে বিদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় শিল্প বাদে বন্ধ ছিল বাকি সব কিছু। খেলাধুলার জগত তো এর মাঝেই পড়ে। ফলে ইউরোপ জুড়ে বড় বড় ফুটবল ক্লাবগুলোই পড়েছে আর্থিক সংকটে। ধীরে ধীরে খেলা শুরু হলেও আর্থিক দশা তো আর আগের অবস্থানে যায়নি। ফলে টিকে থাকার উপায় খুঁজতে হচ্ছে সবাইকে।

গত মৌসুমেও চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলা টটেনহাম আয় করেছিল আড়াই হাজার কোটি টাকার মতো। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের একটি ক্লাব চালানো কতটা ব্যয়বহুল সেটা মনে করিয়ে দিল সাম্প্রতিক ঘটনা। খেলোয়াড় নন এমন কর্মীদের বেতন দিতে সরকারের সাহায্য চেয়েছিল তারা। তাতে প্রবল সমালোচনা হওয়ায় এখন অন্য উপায় খুঁজে নিয়েছে ক্লাবটি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড থেকে ১৭ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড (১৮৬৩ কোটি টাকা) ধার নিয়েছে তারা। দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না লন্ডনের ক্লাবটি।
২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মাঠে দর্শক ফেরার আশা ছেড়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময়টায় প্রায় ২০ কোটি পাউন্ড ক্ষতির ভয় পাচ্ছে টটেনহাম। টিভি সম্প্রচার স্বত্ত্ব থেকে প্রাপ্ত অর্থও এ সময় কমে যাবে। তাই ইংল্যান্ডের করোনায় আর্থিক সহায়তা স্কিমের অংশ হিসেবে জামানাত ছাড়াই এত বড় অঙ্কের ধার নিতে পারছে টটেনহাম। মাত্র ০.৫ শতাংশ সুদে আগামী এপ্রিলের মধ্যে সেটা শোধ করার সুযোগ পাবে টটেনহাম। চাইলে আরও এক বছরের জন্য লোনের মেয়াদ বাড়ানো যাবে।
এর আগে ক্লাবের ম্যানেজার হোসে মরিনহো নিশ্চিত করেছেন, ক্লাবের এ অবস্থায় দলবদলে বড় অঙ্ক খরচ করবে না স্পার্সরা। এবং ব্যাংক থেকে নেওয়া এই অর্থ দলবদলে কোনোভাবেই ব্যবহার করা হবে না। ক্লাবের অন্যান্য দিক সামলানোর জন্যই ১৭ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড ধার নিয়েছে টটেনহাম।

এ মৌসুমে স্টেডিয়াম থেকে আয়ের পরিকল্পনা ছিল টটেনহামের। নতুন স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচের টিকিট বিক্রি তো বটেই, রাগবি ও বক্সিং ম্যাচও আয়োজন করার কথা ছিল তাদের। গানস অ্যান্ড রোজেস, লেডি গাগার কনসার্টও হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে।