আকরাম হতে পারতেন যে ভারতীয় পেসার

ভারতের সাবেক পেসার ইরফান পাঠান। ফাইল ছবি
ভারতের সাবেক পেসার ইরফান পাঠান। ফাইল ছবি
>ক্যারিয়ারের শুরুতে পাকিস্তানি কিংবদন্তী ওয়াসিম আকরামের সঙ্গে তুলনা করা হতো ভারতীয় পেসার ইরফান পাঠানকে।

 ওয়াসিম আকরামের ক্যারিয়ার তখন সায়াহ্নে। ভারতীয় বাঁহাতি পেসার ইরফান পাঠান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা দেন ঠিক তখনই। ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হয় ১৯ বছর বয়সী ইরফানের। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের ভেতরে বল সুইং করানোর অসাধারন দক্ষতা ছিল ইরফানের। স্বাভাবিকভাবেই ক্যারিয়ারের শুরুতে ইরফানকে পাকিস্তানি কিংবদন্তী ওয়াসিমের সঙ্গে তুলনা করা শুরু হয়।

 ২০০৪ সালে পাকিস্তানে ভারতীয় দলের ঐতিহাসিক সফরে মূল সদস্য ছিলেন ইরফান। পুরো সিরিজ জুড়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন তিনি। পাঠান ততদিনে রাতারাতি তারকা বনে যান। ২০০৫ সালের অভিষেক হয় আরেক তরুণ ক্রিকেটার সুরেশ রায়নার। শুরুর দিকে পাঠানের তারকাখ্যাতি দেখে মুগ্ধ হতেন তরুণ রায়না।

 সম্প্রতি ইন্সটাগ্রাম আড্ডায় রায়না স্মরণ করছিলেন তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের গল্প। তখনই উঠে আসে ইরফান প্রসঙ্গ, 'সবাই ইরফানকে ওয়াসিমের সঙ্গে তুলনা করত। লম্বা কোঁকড়া চুল। শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের মতো ছিলেন। আমি যখন দলে আসি, তিনি তখন অনেক বড় নাম, তাঁর তখন অনেক পরিচিতি।'

 পাকিস্তানিরা অবশ্য ইরফানকে নিয়ে এতো মাতামাতি পছন্দ করত না। তখন পাকিস্তান দলের প্রধান কোচ ছিলেন জাভেদ মিঁয়াদাদ। তিনি নাকি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ইরফানের মতো বোলার পাকিস্তানের প্রতিটি গলিতে পাওয়া যায়। মিঁয়াদাদের কথাটি এখনো নাকি মনে আছে রায়নার, 'আমি অবাক হয়েছিলাম। আমার মনে আছে, আমার বাবা খবর পড়ছিল এবং একদম পছন্দ করেননি বিষয়টি।'

 কিন্তু ২০০৬ সালে পাকিস্তানিদেরই চমকে দেন ইরফান। প্রথম ভারতীয় পেসার হিসেবে টেস্টে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। করাচি টেস্টে সালমান বাট, ইউনুস খান, মোহাম্মদ ইউসুফের পর পর তিন বলে আউট করেন ইরফান।

 ভারতের হয়ে ইরফানের ক্যারিয়ার অবশ্য লম্বা হয়নি। তিনি ২৯ টেস্ট, ১২০ ওয়ানডে ও ২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৩০১টি আন্তর্জাতিক উইকেট শিকার করেন। গত বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ইরফান।