গুরুদের কষ্ট সহ্য করতে পারেননি তামিম

কোচদের একটু অন্যভাবে সম্মান জানিয়েছেন তামিম ইকবাল। প্রথম আলো ফাইল ছবি
কোচদের একটু অন্যভাবে সম্মান জানিয়েছেন তামিম ইকবাল। প্রথম আলো ফাইল ছবি

খেলোয়াড়দের কাছে কোচ হচ্ছেন গুরু বা শিক্ষক। শৈশব থেকে পরিণত হতে এমন কত গুরুর কাছেই তো দীক্ষা নিতে হয় একজন খেলোয়াড়কে। কোচদের প্রতি তাই সব সময় আলাদা ভক্তি–ভালোবাসা কাজ করে খেলোয়াড়দের। সেই কোচদের কেউ যদি আর্থিক কষ্টে ভোগেন, এ খবর শুনে একজন প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড় কী বসে থাকতে পারেন? তামিম ইকবালও পারেননি।

চট্টগ্রাম থেকে কয়েকজন স্থানীয় কোচ তামিমকে জানালেন, যেহেতু করোনার কারণে সব একাডেমি বন্ধ, তাঁদের অনেকে ভীষণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। খবরটা শুনেই বড় ভাই নাফিস ইকবালকে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক নিজের উদ্যোগের কথা বলেন। অনুরোধ করেন, দ্রুত সব কিছু আয়োজন করতে। সেটিরই অংশ হিসেবে আজ বিকেলে তামিমের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম শহরের কাজির দেউরিতে পারিবারিক রেস্তোরাঁয় সীমিত পরিসরে একটি অনুষ্ঠান করে কোচদের আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক নাফিস অবশ্য এটিকে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান বলতে চাইলেন। প্রয়াত বাবা ইকবাল খানের অনেক স্মৃতি রোমন্থন হয়েছে অনুষ্ঠানে। তবে নাফিস ভীষণ গর্বিত তামিমের এই উদ্যোগে, যিনি কোচদের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে দ্রুত উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁদের পাশে দাঁড়াতে, 'কোচরা হচ্ছেন আমাদের কাছে শিক্ষকের মতো। তাঁদের কষ্টের কথা শুনে তামিম আমাকে দ্রুত সব আয়োজন করতে বলে। তামিম আমাকে বারবার বলেছে, তাঁদের সম্মান দিতে হবে। এটা কিন্তু অনুদান নয়, সম্মান। ছোটবেলায় আমি-তামিম প্যাড পরেই যেকোনো একাডেমিতে চলে যেতাম। কেউ বলত না ভর্তি হতে হবে। বা পরে ব্যাটিং কর। তপন দা, মমিন ভাইদেও মতো কোচদের প্রতি আমাদের অনেক কৃতজ্ঞতা। আমরা এটার প্রচার-প্রচারণা চাইনি। শিক্ষক হিসেবে শুধু তাঁদের সম্মান করতে চেয়েছি।'