ম্যাচ পাতিয়েছেন, মালিককে এটা বলা যাবে না!

ম্যাচ ফিক্সিং করে আজীবন নিষিদ্ধ মালিক এবার উল্টো হুমকি দিয়ে রাখলেন। ফাইল ছবি
ম্যাচ ফিক্সিং করে আজীবন নিষিদ্ধ মালিক এবার উল্টো হুমকি দিয়ে রাখলেন। ফাইল ছবি

রীতিমতো হুমকিই দিয়ে রাখলেন সেলিম মালিক। কেউ যদি তাঁকে ম্যাচ পাতানোর দায়ে অভিযুক্ত করে, তাহলে তাঁকে বা তাঁদের আচ্ছা করে দেখে নেবেন তিনি।

প্রশ্নটা এখন উঠতেই পারে। ম্যাচ পাতানোর দায়ে আজীবন ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ একজন ক্রিকেটার, এই হুমকি কীভাবে দিতে পারেন! খুব সহজ, মালিক নিজেই মনে করেন তিনি কোনো ম্যাচ ফিক্সার নন, কারণ, ২০০৮ সালে লাহোরের একটি আদালত তাঁকে সেই দায় থেকে মুক্তি দিয়েছে। ২০০০ সালে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ককে আজীবন নিষিদ্ধ করেছিল।

আশি ও নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানই ছিলেন মালিক। কিন্তু ১৯৯৫ সালে অধিনায়ক থাকা অবস্থাতেই তাঁর বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। অস্ট্রেলীয় তারকা শেন ওয়ার্ন ও মার্ক ওয়াহকে বাজে খেলার জন্য ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগটিই ছিল সবচেয়ে আলোচিত। মালিক সে সময় এগুলো অস্বীকার করলেও ২০০০ সালে তিনি ধরা পড়ে যান।

মালিক তাঁর নাম ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে না জড়ানোর হুমকিটা দিয়েছেন বেশ জোরের সঙ্গেই, 'যারা আমাকে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়াতে চান, তাদের সাবধান করে দিচ্ছি, খবরদার, এ ব্যাপারে আমার নাম মুখেও নেবেন না। আমি আদালতের মাধ্যমে এ অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছি। যারা আমাকে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়াবেন, তাদের আমি আদালতে নিয়ে ছাড়ব।'
নব্বইয়ের দশকের শেষে বিচারপতি মালিক মোহাম্মদ কাইয়ূমের নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করেছিল পাকিস্তান সরকার। এটি কাইয়ূম কমিশন নামে পরিচিত। এটি যাবতীয় ম্যাচ পাতানোর অভিযোগের তদন্ত করে। কাইয়ূম কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০০০ সালে সেলিম মালিককে ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছিল পিসিবি।

পাকিস্তানের সাবেক এই ব্যাটসম্যান এখন ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেকে আবার জড়াতে চান। হতে চান কোচ। নিজের অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতে চান নতুন প্রজন্মের মধ্যে। তবে পিসিবির মনোভাব বরাবরই এ ব্যাপারে নেতিবাচক। পাকিস্তানি ক্রিকেট প্রশাসন মনে করে মালিককে আগে বেশ কিছু ব্যাপারে সন্দেহ দূর করতে হবে, তবেই তিনি পিসিবির চাকরি পেতে পারেন। ২০১৩ সালে তাঁর প্রতি ইস্যু করা পিসিবির একটি নোটিশের জবাব তিনি কখনোই দেননি। মালিকের কথা, মোহাম্মদ আমির, সালমান বাটরা যদি ক্রিকেটে আবারও ফিরতে পারে, তাহলে তিনি কোচিং পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না কেন। আদালত যেখানে তাঁকে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছে।