ক্রিকেটে এবার ভাইরাস-বদলি

টেস্ট সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, করোনা ধাক্কা সামলে এভাবেই ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ছবি: ইসিবি
টেস্ট সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, করোনা ধাক্কা সামলে এভাবেই ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ছবি: ইসিবি

করোনার প্রকোপে পৃথিবী থেকে কত সনাতন আচার, নিয়ম বিদায় নিচ্ছে। ক্রিকেট তার বাইরে নয়। করোনা থেকে বাঁচতে ফুটবলে বেশ কিছু নিয়ম সংশোধন করেছে ফিফা। নতুন কিছু নিয়ম প্রবর্তন করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিও।

আগামী মাসেই ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এই সিরিজেই দেখা যাবে নতুন কিছু নিয়মকানুন। অনিল কুম্বলের নেতৃত্বে আইসিসি ক্রিকেট কমিটি থেকে এসেছে এসব নিয়মের সুপারিশ। অন্তবর্তী সময়ের জন্য 'প্লেইয়িং কন্ডিশনে'র এ পরিবর্তনকে আজ অনুমোদনও দিয়েছে প্রধান নির্বাহী কমিটি।

নতুন 'প্লেইয়িং কন্ডিশনে' সবচেয়ে বড় সংযোজন 'কোভিড-১৯ রিপ্লেসমেন্ট' বা ভাইরাসজনিত খেলোয়াড় বদল। এ ছাড়া বলে লালা মাখানোও নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। টেস্ট ম্যাচে নিরপেক্ষ আম্পায়ার রাখার বাধ্যবাধকতাও আপাতত তুলে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তন এসেছে ডিআরএসেও। দলগুলো এখন প্রতি ইনিংসে একটি করে বাড়তি 'অসফল' রিভিউ নিতে পারবে।

ক্রিকেটে গত বছরই চালু হয়েছে মাথায় আঘাতজনিত কারণে খেলোয়াড় বদল বা কনকাশন সাব। ২০১৯ অ্যাশেজেই সর্বপ্রথম বদলি খেলোয়াড় নামতে দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। এক বছর যেতে না যেতেই যোগ হলো খেলোয়াড় বদলের আরেকটি নিয়ম। নতুন এই নিয়মে মাঠে কোনো খেলোয়াড়ের শরীরে কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে ওই খেলোয়াড়ের জায়গায় নতুন আরেক খেলোয়াড়কে একাদশে নেওয়া যাবে। তবে কনকাশন বদলীর মতোই ম্যাচ রেফারির অনুমতি নিয়ে এখানেও লাইক–ফর–লাইক বা একই ধরণের খেলোয়াড় অদলবদল করা যাবে। তবে কোভিড-১৯ বদলি শুধু টেস্টেই করা যাবে।

বল চকচকে রাখতে লালা মাখানো নিষিদ্ধ করতে গত মাসেই পরামর্শ দিয়েছিল কুম্বলের নেতৃত্বে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি। আজ সেটিই নিয়ম হলো। নতুন নিয়মে মাঠে কাউকে বলে লালা মাখাতে দেখলে শুরুতে আম্পায়ার ওই খেলোয়াড়কে বুঝিয়ে বলবেন। তবে দ্বিতীয়বার একই কাণ্ড ঘটলে ওই দলকে আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করা হবে। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ দুবার সতর্ক করার পর আবারও একই ঘটনা ঘটলে ব্যাটিং দল ৫টি পেনাল্টি রান পাবে।

করোনার এই সময়ে বেশিরভাগ দেশেই যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় নিরপেক্ষ আম্পায়ারের বাধ্যবাধকতা বাদ দিয়েছে আইসিসি। আর এ কারণেই আবার একটি করে ডিআরএস বাড়িয়েছে আইসিসি।