টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে তো?

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি: এএফপি
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি: এএফপি

কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা সামলে বিশ্বের কোথাও কোথাও ফিরতে শুরু করেছে ক্রিকেট। দু-একটি দেশে আগামী মাসে আন্তর্জাতিক সিরিজও দেখা যাবে। কিন্তু বছরের বড় দুটি টুর্নামেন্ট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। তবে আজ আইসিসির সভায় ঠিক হতে পারে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বড় আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে টুর্নামেন্ট দুটির দিকে। করোনার কারণে গত তিন মাসে তেমন আর্থিক ক্ষতি না হলেও এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভেস্তে গেলে ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা বিসিবির। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে গতকাল বলেছেন, ‘এত দিন তেমন আর্থিক ক্ষতি হয়নি। এখন হয়তো ধীরে ধীরে হবে। এশিয়া কাপ কিংবা আইসিসির টুর্নামেন্ট যদি না হয়, রাজস্ব আয়ে ধাক্কা খেতে হবে। শুধু আমাদের একার হবে না, সব বোর্ডেরই এটা হবে।’ তবে তাঁর আশা—বিসিসিআই কিংবা ইসিবির তুলনায় বিসিবির ক্ষতি কমই হবে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো কিছু বলতে পারছে না আইসিসি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। গত মাসের শেষ দিকে আইসিসির বোর্ড সভায় কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে। আজকের সভায় সে সিদ্ধান্ত হয় কি না, সেটিই দেখার।

পরশু ভার্চ্যুয়াল সভায় এশিয়া কাপের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এসিসি। তবে এসিসির এ সভায় এশিয়া কাপ নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে এখনো টুর্নামেন্টটা নিয়ে আশা আছে। সভায় আলোচনা হয়েছে টুর্নামেন্টের ভেন্যু নিয়ে। ২০২০ এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ পাকিস্তান। গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এসিসির সভায় ঠিক হয়, পাকিস্তান টুর্নামেন্টটি আয়োজন করবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। কিন্তু মার্চ থেকে মহামারিতে রূপ নেওয়া কোভিড-১৯ এলোমেলো করে দিয়েছে সব পরিকল্পনা।

আমিরাতে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হলেও তারা সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের মতো বড় একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে অনুমতি দেবে কি না, সেটি নিয়ে সংশয় আছে। এসিসির পরশুর সভায় তাই বিকল্প ভেন্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কাল শ্রীলঙ্কান পত্রিকা সিলন টুডে জানিয়েছে, এশিয়া কাপ আয়োজনে এসিসির সবুজসংকেত পেয়েছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। বোর্ড সভাপতি শাম্মি সিলভা খবরটি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘পিসিবির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তারা এ সংস্করণের আয়োজন আমাদের হাতে তুলে দিতে সম্মত হয়েছে।’

এসিসি কিংবা পিসিবির পক্ষ থেকে অবশ্য এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি এখনো আসেনি। ২৯ জুন এসিসির পরবর্তী সভা শেষে জানা যেতে পারে এশিয়া কাপের ভাগ্য। তার আগে আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে কি না আইসিসি, সেটিই এখন বড় কৌতূহলের বিষয়।