পথশিশুদের সানডের সাহায্য

সানডেকে পেয়ে সব সময়ই খুশিতে ঝলমল করে ওঠে পথশিশুদের মুখ। ফাইল ছবি
সানডেকে পেয়ে সব সময়ই খুশিতে ঝলমল করে ওঠে পথশিশুদের মুখ। ফাইল ছবি
>আবাহনীর এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সময় পেলেই পথশিশুদের সঙ্গে আড্ডা দেন

আবাহনী ক্লাবের আশপাশের পথশিশুদের কাছে প্রিয় নাম সানডে সিজোবা। আবাহনীর এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সময় পেলেই পথশিশুদের সঙ্গে আড্ডা দেন। শুধু তাই নয়, ক্লাব ভবনের আশপাশের অনেক অসহায় মানুষকে বিভিন্ন সময়ে গোপনে সাহায্য সহযোগিতা করেন এই ফুটবলার। রাস্তায় সানডেকে ঘুরতে দেখলেই পথশিশুরা তার কাছে ছুটে আসেন। আজ দুপুরে সানডে আবাহনী ক্লাব থেকে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ধানমন্ডি লেকের ধারে। লেকপাড়ের একটি বাড়িতে থাকেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার মানডে ওসাজিও। বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গিয়ে পথশিশুদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন সানডে। 

রিকশা থেকে সানডেকে নামতে দেখেই লেকের ধারে ঘোরা একদল পথশিশু ছুটে আসে। সানডের সঙ্গে আলাপ জুড়ে দেয়। মুহূর্তেই সানডের মনে যেন স্নেহের পরশ উথলে ওঠে। কোনো পথশিশু যদিও সানডের কাছে টাকা-পয়সা চায়নি। কিন্তু সানডেই পকেট থেকে বের করলেন এক হাজার টাকার কড়কড়ে একটা নোট। শিশুদের দলটি চলে যেতে চাইলে নিজেই ডেকে ওদের হাতে ধরিয়ে দেন টাকাটা। আর টাকা পেয়ে শিশুদের সেকি আনন্দ! করোনাভাইরাসের এমন পরিস্থিতিতে নিশ্চয়ই টাকাটা বেশ উপকারে লাগবে শিশুদের। সানডে অবশ্য মজা করে বলছিলেন, 'ওরা আমার বন্ধু। ওদের হাশিখুশি মুখটা দেখতে বেশ লাগে আমার।'

করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল হয়ে গেছে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। ঢাকায় আটকে পড়েছেন সানডের মতো অনেক বিদেশি ফুটবলার। ক্লাব থেকে অবশ্য সানডে পাওনা বুঝে পেয়েছেন । এখন বাড়িতে ফেরার অপেক্ষায় এই ফুটবলার, 'আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলেই আশা করি দেশে ফিরতে পারবো।'