পাঁচ ভারতীয় ক্রিকেটারকে মাদকবিরোধী সংস্থার নোটিশ

বিপদে পড়তে পারেন জাদেজা-রাহুল। ফাইল ছবি
বিপদে পড়তে পারেন জাদেজা-রাহুল। ফাইল ছবি

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ পাঁচ ক্রিকেটারকে জাতীয় মাদকবিরোধী সংস্থা (এনএডিএ) তথ্য প্রদানে ব্যর্থতার নোটিশ পাঠিয়েছে। মাদকবিরোধী সংস্থার নিয়মানুযায়ী সব খেলোয়াড়কেই নিজেদের অবস্থান হালনাগাদ করে জানাতে হয় সংস্থাটিকে। কিন্তু চেতেশ্বর পূজারা, লোকেশ রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজার তথ্য পায়নি সংস্থাটি। এ কারণেই নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছে তারা। যদিও বিসিসিআই বলছে পাসওয়ার্ড–সংক্রান্ত ভুলের কারণেই সমস্যাটা হয়েছে।

গতকাল ভারতীয় পুরুষ দলের তিনজন ছাড়াও নারী ক্রিকেট দলের স্মৃতি মান্ধানা ও দীপ্তি শর্মার অবস্থানের তথ্য পাওয়া যায়নি বলে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। এনএডিএর মহাপরিচালক নবীন আগারওয়াল এ ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের ব্যাখ্যাও জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে, ‘তারা আমাদের একটা ব্যাখ্যা দিয়েছে যেটা গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে, তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারা বলেছে, এডিএএমের (তথ্য দেওয়ার পদ্ধতি) পাসওয়ার্ডে একটু কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। এখন সে সমস্যার সমাধান হয়েছে।’
এনএডিএর প্রধান আরও জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে তথ্য দিতে না পারার ফলে কোনো শাস্তি হবে কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে তাঁরা বিসিসিআইর ব্যাখ্যা পর্যালোচনা করে দেখবেন, এটা শাস্তির আওতায় পড়ে কি না।
পেশাদার খেলোয়াড়দের সব সময় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়। যেকোনো সময় ডোপ টেস্ট যেন নেওয়া যায়, এটা নিশ্চিত করতেই নিজেদের অবস্থান জানিয়ে রাখতে হয় তাঁদের। নিয়মিত তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে সেটা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। টানা তিনবার অবস্থানগত তথ্য না দিলে মাদকবিরোধী নিয়মভঙ্গের অভিযোগও তোলা হয়। শাস্তি হিসেবে তখন দুই বছরের নিষেধাজ্ঞাও জুটতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্দ্রে রাসেল যেমন এ কারণেই এক বছর নিষিদ্ধ ছিলেন ক্রিকেটে।
ভারতীয় খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে এ রকম তথ্য হালনাগাদ রাখার দুটি ব্যবস্থা আছে। এক. তাঁরা নিজেরাই ওয়েবসাইটে ঢুকে সেটা করতে পারেন। দুই. তাঁদের হয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডই সেটা করে দেয়, যেটা এই পাঁচ ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের করার কথা ছিল। লকডাউনের কারণে সবাই এখন গৃহবন্দী হলেও অবস্থানের তথ্য জানিয়ে রাখাটা বাধ্যতামূলক।