চাকরি ছাড়লেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী পদ ছাড়লেন কেভিন রবার্টস। ছবি: টুইটার
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী পদ ছাড়লেন কেভিন রবার্টস। ছবি: টুইটার

করোনাভাইরাস মহামারি সামলাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলেন। বেশ সমালোচনা চলছিল কয়েক মাস ধরে। শেষ পর্যন্ত আর নিতে পারলেন না সিএ প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এ পদ থেকে তাঁর চাকরি এমনিতেই যাই যাই করছিল। আজ রবার্টস নিজেই 'বাই বাই' বলে দেন। ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। বোর্ড প্রধান আর্ল এডিংস লাইভ স্ট্রিমিংয়ে খবরটি প্রথমে নিশ্চিত করেন। এরপর সিএ পরিচালনা পর্ষদ থেকেও রবার্টসের সরে দাঁড়ানোর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
২০২১ সাল পর্যন্ত সিএ প্রধান নির্বাহী পদে চুক্তির মেয়াদ ছিল তাঁর। বাকি থাকা ১৮ মাসের পারিশ্রমিক রবাটর্স পাবেন কি না তা নিয়ে কিছু বলেননি এডিংস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রধান নির্বাহী নিক হকলে অর্ন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব পাচ্ছেন।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে খরচ বাঁচানোর নানা পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচিত হচ্ছিলেন রবার্টস। বোর্ডের ৮০ শতাংশ কর্মীকে পারিশ্রমিক কমানোর কথা বলেছিলেন তিনি। বোর্ড কর্মকর্তাদের বেতনের ২০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রবার্টস। এ ছাড়াও চলতি মাসের শুরুতে রবার্টস বলেছিলেন, করোনার কারণে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এই খবরের সত্যতা নিয়ে অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম সন্দেহ প্রকাশ করে।

সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, করোনা মহামারির মধ্যেও বোর্ড আর্থিকভাবে একদম বাজে অবস্থায় ছিল না। কিন্তু রবার্টসের পদক্ষেপ বোর্ডের বাইরের ভাবমূর্তির পক্ষে ছিল না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেও সমালোচিত হয়েছিলেন রবার্টস।

মাত্র ২০ মাসের দায়িত্ব পালন শেষেই সরে দাঁড়াতে হলো রবার্টসকে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেট বিশ্লেষক ইয়ান চ্যাপেল মনে করেন, এর কিছু দায় নিতে হবে বোর্ডকেও। তাঁর মতে ২০১৮ সালে রবার্টসকে দায়িত্ব দেওয়ার আগে পাওয়া 'সতর্কবার্তা' এড়িয়ে গেছে সিএ। অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমে লেখা এক কলামে চ্যাপেলের ভাষ্য, 'তারা নিয়োগ দিল। ২০ মাস পর ছাঁটাই করল। এর অর্থ হলো, শুরুর সিদ্ধান্তটাই ভুল ছিল।'