রোনালদোর শহরে ১৭ দিনে চ্যাম্পিয়নস লিগ
তাঁর জন্ম মাদেইরাতে। কিন্তু ফুটবলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বেড়ে ওঠার শহর বললে তো লিসবনের কথাই মনে পড়বে সবার আগে। শহরটার ক্লাব স্পোর্টিং লিসবন থেকে উঠে এসেই তো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর রিয়াল মাদ্রিদ হয়ে এখন জুভেন্টাসে আলো ছড়াচ্ছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
তা সেই লিসবনে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার স্বাদ ছয় বছর আগেই পেয়েছেন রোনালদো। ২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদের দশম চ্যাম্পিয়নস লিগ এনে দিয়েছিলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে। এবার আবার তেমন কিছুর স্বাদ পাবেন জুভেন্টাসকে নিয়ে?
সেই অপ্রত্যাশিত সুযোগ রোনালদোকে এনে দিয়েছে করোনাভাইরাস। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে মার্চে স্থগিত হয়ে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস লিগের বাকি অংশ লিসবনেই আয়োজনের সিদ্ধান্ত আজ নিয়েছে উয়েফা। সাধারণত দুই লেগের হলেও বদলে যাওয়া এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বের বাকি থাকা অংশ, অর্থাৎ শেষ আট ও সেমিফাইনাল হবে এক লেগের। টুর্নামেন্ট বাকি অংশ শুরু হবে ৭ আগস্ট, ফাইনাল ২৩ আগস্ট।
মার্চে শেষ ষোলোর কিছু ম্যাচ হওয়ার পরই করোনার কারণে অন্য সব টুর্নামেন্টের মতো বন্ধ হয়ে যায় চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচও। শেষ ষোলোতে দ্বিতীয় লেগে শুধু চারটি ম্যাচ বাকি ছিল – ম্যানচেস্টার সিটি-রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ-চেলসি, জুভেন্টাস-লিওঁ ও বার্সেলোনা-নাপোলি। আজ ভিডিওকনফারেন্সের পর উয়েফার নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই ম্যাচগুলো হবে ৭ ও ৮ আগস্ট। সেগুলো আগের নির্দিষ্ট ভেন্যুতেই হবে নাকি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হবে সে সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি উয়েফা। তবে নিরপেক্ষ মাঠে হলে সেগুলো লিসবনের অন্য ক্লাব পোর্তোর মাঠ অথবা গিমারেসের মাঠে হতে পারে।
১২ আগস্ট থেকে শুরু হবে শেষ আট। ২৩ আগস্ট ফাইনালের আগে শেষ আট ও সেমিফাইনালও হবে এক লেগের। সবগুলো ম্যাচই হবে লিসবনে। করোনায় সব পন্ড না হলে এবারের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ইস্তাম্বুলে, এবার সেটি না হওয়ায় ২০২১ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে হবে ইস্তাম্বুলে। ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোর বাকি ম্যাচগুলো হবে ৫-৬ আগস্ট। পরের অংশ চ্যাম্পিয়নস লিগের মতোই হবে এক লেগের, তা শুরু হবে ১০ আগস্ট থেকে।
সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী বছরের ইউরো নিয়েও। এ বছর হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা পিছিয়ে আগামী বছর নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উয়েফা জানিয়েছে, ইউরোপজুড়ে যে ১২টি শহরে ইউরো হওয়ার কথা ছিল, আগামী বছর সে ১২ শহরেই হবে ইউরো। আর ইউরোর বাছাইপর্বের প্লে-অফের ম্যাচগুলো হবে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতির সময়ে।