সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বাঁচতে চাইলেন আফ্রিদি

করোনা মহামারিতে এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। সুস্থ হয়ে আবারও মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি। ছবি: টুইটার
করোনা মহামারিতে এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। সুস্থ হয়ে আবারও মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি। ছবি: টুইটার

খবরটা জানিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি নিজেই। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এর পর তো নড়েচড়েই বসল ক্রিকেট বিশ্ব। নানা প্রান্ত থেকে দোয়া ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। তাই বলে গুজবও বসে থাকে না।

আফ্রিদি অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব চলছে, প্রতিদিনই একটু একটু করে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে ৪০ বছর বয়সী সাবেক এই অলরাউন্ডারের। কিছুদিন আগে তাঁর ভাই তারিক আফ্রিদি অবশ্য জানিয়েছিলেন, শহীদ আফ্রিদি ভালো আছেন। সবার কাছে তিনি দোয়া চেয়েছেন। প্রতিদিনই তিনি একটু একটু করে ভালো হয়ে উঠেছেন।

কিন্তু পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের শারীরিক অবনতির গুঞ্জন এরপরও থামেনি। অগত্যা আফ্রিদিকেই বলতে হলো, এসব গুঞ্জনে কান দেবেন না। এ নিয়ে 'দ্য নিউজ' প্রকাশ করেছে আফ্রিদির মন্তব্য, 'সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বাঁচাক। এমন গুজব কীভাবে ছড়িয়ে পড়ল বলতে পারব না। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ফোন ও বার্তায় আমার কুশললাদি জানতে চাইছেন শুভাকাঙ্খীরা। সবাইকে বলছি, কোভিড-১৯ ভাইরাস থেকে আমি সুস্থ হয়ে উঠছি এবং দ্রুতই নিজের সামাজিক কাজে ফিরব।'

করোনা মহামারির শুরু থেকে পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুস্থ মানুষদের সাহায্য করেছেন আফ্রিদি। এ নিয়ে তিনি ভীষণ প্রশংসিত হলেও তারিক আফ্রিদি জানান, মানুষকে সাহায্য করতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর ভাই। এদিকে শহীদ আফ্রিদির মাথায় অন্য ভাবনা। করোনায় আক্রান্ত হলে তো এখন তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারতেন। সেটি যে হচ্ছে না! দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে তর সইছে না আফ্রিদির।

সাবেক এ ক্রিকেটারের ভাষ্য, 'কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ব্যাথা ছাড়া সবচেয়ে বাজে বিষয় হলো আমি দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি না। এ কারণে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে সামাজিক কাজে ফিরতে চাই।'

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ নিয়েও কথা বলেছেন আফ্রিদি, 'হঠাৎ করেই একদিন জ্বর ও মাথাব্যথা। শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল। ঘুমোতে পারিনি। শরীরে ব্যথা নেই, কিন্তু মনে হচ্ছিল এতটুকু শক্তি অবশিষ্ট নেই। কিন্তু বিশ্রাম, গরম বাষ্প এবং আদা চা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আশা করি দ্রুত কাজে ফিরতে পারব।'