উল্টো বার্সেলোনাকে ৬৭ লাখ ইউরো ফেরত দিতে হবে নেইমারের

বার্সেলোনার আদালত নেইমারকে ৬৭ লাখ ইউরো ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ফাইল ছবি
বার্সেলোনার আদালত নেইমারকে ৬৭ লাখ ইউরো ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ফাইল ছবি

টেনিস খেলা চলছিল যেন। কখনো বল এই কোর্টে তো কিছুক্ষণ পরই ওই কোর্টে। একবার শোনা যায় বার্সেলোনায় ফিরতে চান নেইমার, আবার শোনা যায় পাওনা বকেয়ার জন্য বার্সেলোনাকে আদালতে নিচ্ছেন নেইমার। আবার বার্সেলোনাও থেমে নেই, চুক্তির শর্ত পূরণ না করায় নেইমারের বিরুদ্ধেও ক্ষতিপূরণের মামলা ঠুকে দিয়েছিল তারা। এই ‘মামলা মামলা খেলার’ প্রথম দানে আপাতত জয়ী হলো বার্সেলোনাই।

২০১৬ সালে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেন নেইমার। সেই চুক্তি অনুযায়ী ২০১৭ সালের জুলাইয়ে বোনাস পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু জুলাইয়েই বিশ্ব রেকর্ড গড়ে পিএসজি ছাড়েন নেইমার। পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করে মাত্র এক বছর না যেতেই ক্লাব ছাড়ায় বোনাসের বাকি অংশ দিতে অস্বীকৃতি জানায় বার্সেলোনা। ওদিকে জুলাই পর্যন্ত ক্লাবে থাকায় সে বোনাস পাওয়ার অধিকার আছে জানিয়ে ২২ মিলিয়ন ইউরো প্রাপ্তির জন্য মামলা করেন নেইমার। সে মামলারই রায় প্রকাশিত হলো আজ। বার্সেলোনার সামাজিক আদালত ১৫-এর এই রায়ে বিচারকের চোখে বার্সেলোনার যুক্তিই গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। তাই বার্সেলোনার আবেদন অনুযায়ী নেইমারকে ৬.৭ মিলিয়ন ইউরোর শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

এ রায়ের পর বার্সেলোনার ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, খেলোয়াড়ের সর্বশেষ চুক্তির বোনাস নিয়ে নেইমার ও বার্সেলোনার মধ্যে চলমান মামলায় আজ বার্সেলোনার সামাজিক আদালত ১৫ যে রায় দিয়েছেন, তাতে বার্সেলোনা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। এ রায়ে খেলোয়াড়ের ৪৩.৬ মিলিয়ন ইউরো পাওয়ার দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এবং বার্সেলোনার অধিকাংশ যুক্তি মেনে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ক্লাবকে ৬.৭ মিলিয়ন ইউরো ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই খেলোয়াড়কে। যেহেতু খেলোয়াড় এখনো এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন, ক্লাব তাদের নিজেদের আইনগত স্বার্থ রক্ষা করে চলবে।

এ ব্যাপারে নেইমার বা তাঁর প্রতিনিধিদের কোনো মন্তব্য এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।