ক্রীড়াঙ্গনেও বাড়ছে করোনার থাবা

ক্রীড়াঙ্গনে সর্বশেষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও নাফিস ইকবাল। ফাইল ছবি
ক্রীড়াঙ্গনে সর্বশেষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও নাফিস ইকবাল। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস কাউকে ছাড়ছে না। আর সব অঙ্গনের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও এই মহামারি হানা দিয়েছে আগেই। করোনার থাবায় হারাতে হয়েছে সাবেক খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠকদেরও। সর্বশেষ আজ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার মধ্য দিয়ে সে তালিকা আরও দীর্ঘ হলো।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের নিজ নির্বাচনী এলাকা নড়াইল ও লোহাগড়ায় সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মাশরাফি। এখন তিনি নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় নিজের বাসায় আইসোলেশনে। গতকাল শুক্রবার পরীক্ষা করার পর আজ কোভিড পজিটিভ হওয়ার দুঃসংবাদ পেয়েছেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে করোনা আক্রান্তের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন মাশরাফি। আজই নিজের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন তামিম ইকবালের অগ্রজ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল। জ্বর ও শরীর ব্যথা থাকায় আরও তিন-চার দিন আগেই নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন তিনি। তবে মাশরাফি, নাফিস দুজনই জানিয়েছেন তাদের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভালো।

দেশের ক্রিকেটে করোনা প্রথম হানা দেয় গত মে মাসে। গত ১২ মে সাবেক ক্রিকেটার ও নারী ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ আশিকুর রহমানের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। ১৫টি প্রথম শ্রেণি ও ১৮টি লিস্ট 'এ' ম্যাচ খেলা এই ক্রিকেটার ১২ মে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা জয় করে বাসায় ফেরেন ২৯ মে। এর মধ্যেই দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ফরিদপুরে করোনা আক্রান্ত হন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ওয়ারি ও ভিক্টোরিয়ার অধিনায়কত্ব করা আরেক সাবেক ক্রিকেটার সজিব দাস। তিনিও সুস্থ হয়ে ফিরেছেন স্বাভাবিক জীবনে।

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে করোনার প্রথম ধাক্কাটা অবশ্য তার আগের মাসেই এসেছে। গত ১৬ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির সহসভাপতি আবুল কাশেম। সে শোক কাটার আগেই ১৮ এপ্রিল ক্লাবের আরেক সহসভাপতি মনসুর আহমেদকেও করোনার কাছে হারায় রহমতগঞ্জ।

দেশের ক্রীড়াঙ্গন করোনাকালে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছে গত ১৪ জুন। বাংলাদেশের ফুটবলের অতি পরিচিত মুখ নুরুল হক মানিক করোনার কাছে হার মেনে এ দিন বিদায় নেন পৃথিবী থেকে। নব্বইয়ের দশকে দেশের অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডার আরামবাগ, ইয়ংমেন্স, ব্রাদার্স ও মোহামেডানের অধিনায়কত্ব করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাফুফের সঙ্গে কোচ হিসেবে জড়িত থেকে দেশের ফুটবলে অবদান রেখেছেন। কিন্তু মাত্র ৫৫ বছর বয়সেই তাঁকে কেড়ে নিয়েছে বৈশ্বিক মহামারি।