বার্সেলোনা ভুল করবে, জানতেন আসপাস

বার্সেলোনাকে শেষ মুহূর্তে স্তব্ধ করে দিয়েছে সেল্টা। ছবি: এএফপি
বার্সেলোনাকে শেষ মুহূর্তে স্তব্ধ করে দিয়েছে সেল্টা। ছবি: এএফপি

দুর্দান্ত বাঁকানো শট। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে অন্ধকারে রেখে এমনভাবে বাঁক সৃষ্টি করেছেন যেন পোস্ট ঘেঁষে বল ঢোকে। ইয়াগো আসপাসের এই গোল এমনিতেও বহুদিন মনে রাখত মানুষ। প্রতিপক্ষ আরও গোলের সময় এটার মাহাত্ম্য বাড়িয়ে দিয়েছে। বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচের ৮৮ মিনিটের এ গোলে শুধু সেল্টা ভিগোর পয়েন্ট পাওয়া নিশ্চিত হয়নি, লা লিগার শিরোপা দৌড়ও অনেকটাই নির্ধারণ করে ফেলেছে।

গতকাল রাতে আসপাসের ফ্রি-কিকটা ঠিক স্বাভাবিক নিয়মে নেননি। বক্সের এত কাছে ফ্রি কিক থাকলে সাধারণত সবাই একটা নির্দিষ্ট নিয়মে গোল করার চেষ্টা করেন। বলটা খানিকটা ওপরে তুলে মানব দেয়াল পেরিয়ে গেলেই যেন গোত্তা খেয়ে নিচে নামে, সে চেষ্টা করেন সবাই। গতকাল আসপাস সেটা করেননি। বক্সের বাইরে থেকে এমনভাবে বাঁকিয়ে নিচু শট নিয়েছেন যেন সেটা মানব দেয়ালের পাশ দিয়ে খেলোয়াড়দের পায়ের নিচ দিয়ে যায়। এভাবে শট নেওয়াতেই বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের-স্টেগেন জালে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত টের পাননি কী হচ্ছে।

আসপাস জানিয়েছেন তাঁর এমন ফ্রি কিক নেওয়ার কারণ, ‘আমি জানতাম কোথায় মারব বলটা। আমাদের গোলরক্ষক কোচের সঙ্গে অসংখ্য ভিডিও দেখেছি এ নিয়ে। আমি জানতাম ওরা (বার্সার মানব দেয়াল) লাফ দেবেই এবং ওদের পায়ের নিচ দিয়ে বল চলে যেতে দেখলাম।’

৮৮ মিনিটের এ গোলে স্বস্তি পেলেও সেল্টা অধিনায়কের দুঃখ বার্সেলোনাকে হারিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পায়নি তাঁর দল। ৯৪ মিনিটে প্রায় ফাঁকা পেয়েও গোল করতে পারেননি নোলিতো। এখনো অবনমনের শঙ্কামুক্ত হতে না পারা সেল্টার জন্য প্রতিটি পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবু পুনরায় লিগ শুরু হওয়ার পর দলের পারফরম্যান্সে তৃপ্ত আসপাস, ‘সম্ভাব্য ১২ পয়েন্টের ৮টি পেয়েছি। নিজদের মাঠে বার্সেলোনার কাছ থেকে পয়েন্ট কেড়ে নেওয়া, ম্যাচের শুরুতে বললে ওটাই মেনে নিতাম। কিন্তু শেষ যে সুযোগ (নোলিতোর) আর আমাদের শেষ দিকের আক্রমণ দেখে মনে হয়েছিল ম্যাচটা আমরা জিততে পারতাম।’