'রাহুল দ্রাবিড় বিশ্বের সবচেয়ে কম মূল্যায়িত ক্রিকেটার'

ইরফান পাঠান মনে করেন ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে কম মূল্যায়িত ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়। ছবি: এএফপি
ইরফান পাঠান মনে করেন ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে কম মূল্যায়িত ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়। ছবি: এএফপি

ভারতের সফল অধিনায়কদের নাম নিলেই প্রথমে চলে আসে কপিল দেবের কথা। ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের দিগন্তই বদলে দিয়েছিলেন কপিল। আসে সুনীল গাভাস্কারের কথাও, যাঁর অধীনে অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৮৫ সালে 'মিনি বিশ্বকাপ' জিতে ওয়ানডের বড় শক্তি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়ায় ভারত। মহেন্দ্র সিং ধোনি জিতিয়েছেন একটি টি–টোয়েন্টি ও একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও। সৌরভ গাঙ্গুলী বিশ্বকাপ জেতাতে না পারলেও আজকের ভয়ডরহীন ভারতীয় দলের রূপকার তো তিনিই। ভারতের সফল অধিনায়কের তালিকায় মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের নামও উচ্চারিত হয় কখনো কখনো। আর হালের বিরাট কোহলি তো আছেনই।

কিন্তু 'দ্য ওয়াল' রাহুল দ্রাবিড়কে কেন ভারতের সফল অধিনায়কদের কাতারে ফেলা হয় না— এই প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক ভারতীয় পেসার ইরফান পাঠান। অথচ এই রাহুল দ্রাবিড় কঠিন এক সময়ে ভারতীয় দলের হাল ধরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাফল্যের সঙ্গে।

কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে বিবাদের সূত্র ধরে ২০০৫ সালে অধিনায়কত্ব থেকে বিদায় নেন সৌরভ। অধিনায়কত্ব ওঠে দ্রাবিড়ের কাঁধে। সময়টা আসলেই কঠিন ছিল। গুঞ্জন ছিল, চ্যাপেল ভারতীয় ড্রেসিং রুমের শান্তি নষ্ট করেছেন। দলের মধ্যেও দেখা দিয়েছিল বিভক্তি। ওরকম একটা সময়ে দায়িত্ব নিয়ে ২৫টি টেস্ট আর ৭৯টি ওয়ানডেতে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দ্রাবিড়।

অধিনায়ক হিসেবে দ্রাবিড় সফল নাকি ব্যর্থ, পরিসংখ্যানই তা বলে দিচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বে ৭৯টি ওয়ানডের ৪২টিতেই ভারত জিতেছিল। টানা জয় ছিল ১৭টি ম্যাচে। ২৫টি টেস্টের মধ্যে জিতেছিল ৮টিতে। ওয়ানডেতে সাফল্যের হার ৫৬ শতাংশ, টেস্টে ৩২ শতাংশ। তারপরেও দ্রাবিড়ের নাম কেন সফল অধিনায়কদের তালিকায় থাকে না, সেটা এক রহস্য।

ইএসপিএন–ক্রিকইনফোর এক লাইভ ইনস্টাগ্রাম ভিডিও শোতে ইরফান সে প্রশ্নটি তুলেই বলেছেন, 'বিশ্বের সবচেয়ে কম মূল্যায়িত ক্রিকেটার হচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়।' নিজের কথার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সাবেক ভারতীয় পেসার বলেন, 'রাহুল দ্রাবিড় অসাধারণ এক অধিনায়ক। দলের খেলোয়াড়দের কার কাছে তিনি কী চান, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল তাঁর। একেক জন অধিনায়ক একেক ভাবে ভাবেন। রাহুলেরও নিজস্ব একটা ভাবনা ছিল। তবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর সংযোগটা দারুণ ছিল।'

দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্ব নিয়ে বিতর্কও আছে। ২০০৪ সালের মার্চে ভারতীয় দলের পাকিস্তান সফরে সৌরভের চোটের কারণে প্রথম দুই টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। মুলতান টেস্টেরাহুল ভারতের ইনিংস ঘোষণা করে দেন শচীন টেন্ডুলকারকে ১৯৪ রানে রেখেই। অনেকেই তখন সহজভাবে নেননি ব্যাপারটা।প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল দ্রাবিড়কে।