করোনা হয়েছিল বোথামের, ভেবেছিলেন সাধারণ ফ্লু

ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার ও অধিনায়ক ইয়ান বোথাম। ফাইল ছবি
ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার ও অধিনায়ক ইয়ান বোথাম। ফাইল ছবি

কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইয়ান বোথাম সম্প্রতি জানিয়েছেন করোনাভাইরাসে তিনি অনেক আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তাঁর রোগটা যে কোভিড-১৯ ছিল তা তিনি বুঝতেই পারেননি। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মনে করেছিলেন, সাধারণ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

ইংল্যান্ডের হয়ে ১০২ টেস্ট ও ১১৬টি ওয়ানডে খেলা সাবেক অলরাউন্ডার ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভুগেছিলেন গত বছরের ডিসেম্বরে। সেই সময়ে তাঁর যে উপসর্গ ছিল সেগুলোর কথা মনে করে গুড মর্নিং ব্রিটেনকে বলেছেন, ‌‘ছয় মাস আগের কথা। সেই সময় এটা সম্পর্কে কেউ জানত না, কেউ এর নাম পর্যন্ত শোনেনি। আসলে আমার এটাই (কোভিড-১৯) হয়েছিল। ডিসেম্বরের শেষ দিকে আক্রান্ত হয়েছিলাম আমি। সমস্যা জানুয়ারির প্রথম দিকেও ছিল। আমি ভেবেছিলাম, খুব বাজেভাবে ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছি।'

করোনাভাইরাস নিয়ে পুরো বিশ্ব যে এখনো অন্ধকারেই আছে, সবার উদ্দেশে তাও বলেছেন বোথাম, ‌‌‘এটা কত দিন ধরে যে পৃথিবীতে আছে তা কেউ জানে না। এটা অনেকটা অন্ধকারের মতো। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়।’ তবে মানুষ সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মাবলি মানছেন বলে খুশি কাউন্টি দল ডারহামের চেয়ারম্যান, ‌‌‘মানুষ খুব সচেতন। আশা করছি আরও সপ্তাহ দু-এক তারা এভাবেই ধৈর্য ধরে থাকবে। যাতে করে আমরা (নিকট ভবিষ্যতে) এমন একটি পরিস্থিতি পাই যে সবাই সব জায়গায় যেতে পারব।'

করোনাভাইরাসের কারণে মার্চের পর থেকে প্রায় সব ধরনের খেলাই বন্ধ ছিল। সম্প্রতি মাঠে ফিরেছে ইউরোপিয়ান ফুটবল। আগামী ৮ জুলাই মাঠে ফিরবে ক্রিকেট, ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ দিয়ে। কিন্তু বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট এখনো বন্ধ। বোথাম মনে করেন ক্রিকেটারদের স্বার্থে দ্রুতই মাঠে ক্রিকেট ফেরানো দরকার।

বিশেষ করে তিনি চাইছেন ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেট মাঠে ফিরুক , ‌‘আশা করছি দ্রুতই ক্রিকেট মাঠে ফিরবে। শিগগিরই গোটা কয়েক সভা হবে। আর সেই সভা গুলোতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ডারহামে ছেলেরা অনুশীলনে ফিরেছে। ওদের সঙ্গে কথা বলে আমার কাছে মনে হয়েছে ওরা মাঠে ফিরতে উন্মুখ হয়ে আছে। সাদা বা লাল বল—যে ধরনের ক্রিকেট হোক, অথবা দুই ধরনের ক্রিকেটই হোক; খেলাটা মাঠে ফেরা দরকার।’

ক্রিকেট মাঠে ফেরানো সহজ বলেও মনে করেন বোথাম। কেন এমনটা তিনি মনে করেন সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‌‘ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারে। এখানে সেই অর্থে তো শারীরিক সংস্পর্শ নেই। খুব সহজেই এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়।’