জামালের খেলা ভালো লেগেছে স্প্যানিশ কোচের

জামাল ভূঁইয়ার খেলা ভালো লেগেছে অ্যাথলেটিকো কলকাতার স্প্যানিশ কোচ অ্যান্থনিও হাবাসের ( সাদা শার্ট)। ছবি: প্রথম আলো ফাইল ছবি ও সংগৃহীত
জামাল ভূঁইয়ার খেলা ভালো লেগেছে অ্যাথলেটিকো কলকাতার স্প্যানিশ কোচ অ্যান্থনিও হাবাসের ( সাদা শার্ট)। ছবি: প্রথম আলো ফাইল ছবি ও সংগৃহীত

২০১৪ সালে ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্লাব অ্যাথলেটিকো ডি কলকাতা দলে সুযোগ পেয়েছিলেন মামুনুল ইসলাম। ভারতীয় সুপারলিগে (আইএসএল) বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের খেলার সুযোগ পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত হয়ে ছিলেন এই দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু কলকাতার জার্সিতে একটি ম্যাচেও মাঠে নামার সুযোগ না পাওয়ায় হতাশায় শেষ হয় মামুনুলের আইএসএলঅধ্যায়। ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই মিডফিল্ডারকে ঢাক –ঢোল পিটিয়ে দলে ভেড়ানো হলেও একটি ম্যাচেও কেন মাঠে নামার সুযোগপেলেন না ? 

প্রায় ছয় বছর পরে এসেও এখনো এই প্রশ্নটি করেন অনেক ফুটবল প্রেমী। কিন্তু উত্তর দেওয়ার যথার্থ মানুষ তো একজনই- আইএসএলে কলকাতা দলকে দুইবার চ্যাম্পিয়ন করানো স্প্যানিশ কোচ অ্যান্থনিও হাবাস। ৬৪ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ শুধুআইএসএল ইতিহাসের অলিখিত সেরা কোচই নন, স্পেনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও সেভিয়াকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাওআছে তাঁর। যোগাযোগ করলে এই প্রতিবেদককে শুনিয়েছেন ৬ বছর আগে মামুনুলকে না খেলানোর কারণ। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের এক ফুটবলারের খেলা ভালো লেগেছে তাঁর, তাও জানিয়েছেন এই স্প্যানিশ কোচ।

বাস্তবতার নিরিখে সেবার মামুনুলের সুযোগ না পাওয়াটা খুব বেশি অবাক করার মতো বিষয় ছিল না। কলকাতার দলটিরমাঝমাঠে মামুনুল সহ ছিলেন মোট ১২ জন। এর মধ্যে দলীয় অধিনায়ক স্প্যানিশ লুই গার্সিয়া ও সহঅধিনায়ক বোরহাফার্নান্দেজসহ পাঁচজন বিদেশি। স্পষ্টত মাঠের প্রতিযোগিতা তো ছিলই। এছাড়া দলের অনুশীলনের সঙ্গে মামুনুলের তালমিলিয়ে নিতে না পারাকেই কেই দায়ী করেছেন হাবাস, 'মামুনুল কৌশলগত ভাবে ভালো খেলোয়াড় ছিল। তবে সে আমারঅনুশীলনের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি। এছাড়া তাঁর দুর্ভাগ্যের বিষয় সে চোটে পড়েছিল। যার জন্য সে দলে সুযোগ করেনিতে পারেননি। '

কলকাতার দলটির সাবেক কোচ জোস ব্যারেটোর পছন্দ অনুযায়ী মামুনুলকে দলে ভিড়িয়েছিল অ্যাথলেটিকো। এবার বাংলাদেশের এক ফুটবলারের খেলা ভালো লেগেছে হাবাসেরই। তিনি লাল– সবুজদের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। শেষ ১৫অক্টোবর কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বসে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকারম্যাচটি দেখেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের জয়ের দাঁড়প্রান্ত থেকে ফিরে আসা ১–১ গোলে ড্র থাকা ম্যাচে জামালের খেলা ভালোলেগেছে বর্তমান আইএসএল চ্যাম্পিয়ন কোচের ,' বাংলাদেশের অধিনায়কের (জামাল ভূঁইয়া) খেলা আমার ভালো লেগেছে। সে ভালো মিডফিল্ডার।'

জামালকে ভালো লাগা, তাহলে ভবিষ্যতে হাবাসের দলে বাংলাদেশ থেকে জামাল বা অন্য কোনো ফুটবলারকে দেখা যেতে পারেকিনা, প্রশ্নটি এসেই যায়। উত্তরটা হাবাসের মুখ থেকেই শুনুন, 'এই প্রশ্নে আমি কোনো ফুটবলারের নাম সরাসরি বলতে চাই না।তবে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ফুটবলার আছে , যারা আইএসএল খেলার যোগ্যতা রাখে।'
সেদিন র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারতের চেয়ে ৮৩ ধাপ পিছিয়ে থেকে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গাণিতিক এ সংখ্যাকে যুবভারতীর নন্দনকাননে গড়াগড়ি খাইয়েছেন জামালরা। বলের নিয়ন্ত্রণ, ব্যক্তিগত দক্ষতা—কোনো কিছুতেই জামালদের চোখে চোখ রেখেখেলতে পারেননি সুনীল ছেত্রীরা। ৮৮ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকে ড্রর সন্তুষ্টি নিয়ে মাঠ ছাড়া। জেমি ডের দলের প্রশংসাওকরেছেন হাবাস ,'বাংলাদেশ দলের খেলা আমার খুবই ভালো লেগেছে। তাঁরা কৌশলগত ভাবে দারুণ ছিল। দলের খেলায় শৃঙ্খলা আছে।'