২০০৩ বিশ্বকাপের দলে এই ভারতের কোন তিনজনকে নিতেন সৌরভ?

বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরা ও রোহিত শর্মাকে নিজের দলে নিতেন সৌরভ । ফাইল ছবি
বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরা ও রোহিত শর্মাকে নিজের দলে নিতেন সৌরভ । ফাইল ছবি

১৭ বছর আগে ভারতকে বিশ্বজয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংয়ের সেই অতিমানবীয় ব্যাটিং সেদিন সৌরভের দলকে বিশ্বকাপ জিততে দেয়নি। অস্ট্রেলিয়ার ২ উইকেটে ৩৫৯ রান তাড়া করতে নেমে ভারত ৪০ ওভারের মধ্যে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ২৩৪ রানে। পন্টিং করেছিলেন ১২১ বলে ১৪০ রান। তবে ওই বিশ্বকাপে সৌরভের দল ফাইনালের আগ পর্যন্ত দারুণ ক্রিকেট খেলেছিল। অনেকেই মনে করেন, এখন ভারতের এই যে দুর্দান্ত এক দল হয়ে ওঠা, সেটার ভিত গড়ে উঠেছিল তখন থেকেই।

সৌরভের সেই দলটিতে যদি বিরাট কোহলির মতো রান তাড়া করায় এমন মাস্টার একজন থাকতেন! যদি উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো একজন থাকতেন, যিনি আবার ব্যাট হাতেও দারুণ ফিনিশার! এই ভারতের কোন তিনজন খেলোয়াড়কে আসলে সৌরভ নিজের দলের রাখতেন? সাবেক ভারত অধিনায়ক ও বিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি এই কঠিন প্রশ্নটা পাশ কাটিয়ে যাননি। উত্তর দিয়েছেন, এই দলের বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা আর জসপ্রীত বুমরাকে তিনি রাখতেন নিজের দলে।

বিসিসিআইয়ের অফিশিয়াল টুইটার থেকে সম্প্রতি একটি ভিডিও শো আপলোড করা হয়েছে। ‘দাদা ওপেনস উইথ মায়াঙ্ক’ নামে ওই শো-তে সাবেক ভারত ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালের মুখোমুখি হয়েছিলেন সৌরভ। সেখানেই মায়াঙ্কের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সৌরভ। ২০০৩ সালের দলে ভারতের এই দলের কোন তিনজনকে বেছে নিতেন প্রশ্নটা সেখানেই এসেছে। ব্যাখ্যায় সৌরভ বলেছেন, কাল্পনিক সেই দলে রোহিত শর্মা ওপেনিং করতেন, কোহলি খেলতে মিডল অর্ডারে। তিন নম্বরে জায়গাটা নিজের জন্যই রেখেছেন সৌরভ। এরপর আবার রসিকতাও করেছেন, ‘এই শোটা যদি শেবাগ দেখে, হয়তো কালই আমাকে ফোন করে বলবে তুমি নিজেকে কী মনে করো?’

সৌরভের প্রথম তিন পছন্দে ধোনি নেই। চতুর্থ একজন নেওয়ার সুযোগ থাকলে কি ধোনিকে নিতেন? এবার ‘দাদা’র উত্তর, ‘এমএস ধোনিকেও নিতাম তখন। তবে তুমি যেহেতু আমাকে তিনজন বেছে নিতে বলেছ, আমি তিনটা পছন্দ বলেছি। সে ক্ষেত্রে আমি রাহুল দ্রাবিড়কে উইকেটের পেছনে রেখে কাজ চালিয়ে নিতাম। কারণ আমি মনে করি ২০০৩ বিশ্বকাপে সে দারুণ করেছে।’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলা হয়নি সৌরভের। যদিও আইপিএলে প্রথম পাঁচটা মৌসুম খেলেছেন। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা খেলেননি রাহুল দ্রাবিড়ের অনুরোধ কিংবা পরামর্শে, সেটি নিয়ে কিছুটা আক্ষেপও আছে তাঁর। নিজের আত্মজীবনী 'আ সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ' বইয়ে সেটি উল্লেখও করেছেন। এ যুগে জন্মালে নিজেকে আরও ভালো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবেই গড়তেন, এটা জানিয়েছেন সৌরভ, ‘টোয়েন্টি ক্রিকেটটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি হয়তো এই সংস্করণে খেলার সুযোগ পেলে নিজের টেকনিকে অনেক পরিবর্তন আনতাম। যদিও আমি আইপিএলে পাঁচ বছর খেলেছি। টি-টোয়েন্টি হচ্ছে মেরে খেলার এক ধরনের লাইসেন্স। সুতরাং আমি এই সংস্করণটা অবশ্যই দারুণ উপভোগ করতাম।’