'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হয়ে আইপিএল হলে প্রশ্ন উঠবে'

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হক। ছবি: টুইটার
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হক। ছবি: টুইটার

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এ বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব হবে কিনা, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া নিজেই জানিয়ে দিতে পারে যে অক্টোবরে তাদের পক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব নয়। কারণ অতিমারির এই সময় ১৮টি দলকে জৈব সুরক্ষা দেওয়া কিংবা তাদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধির অধীনে রাখা কঠিন এক ব্যাপার।

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও ব্যাটিং তারকা ইনজামাম-উল-হক মনে করেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা না করা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাপার। তারা সেটি করোনার কারণে আয়োজন না-ও করতে পারে। কিন্তু সেই জায়গায় যদি আইপিএল আয়োজিত হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

তিনি এ ব্যাপারে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আইসিসিকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন, ‘অনেকেই অনেক কথা বলছেন। কেউ কেউ বলছেন, এ বছর আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়তো না-ও অনুষ্ঠিত হতে পারে। অস্ট্রেলিয়া বলতে পারে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১৮টি দেশের দেখভাল করা এ পরিস্থিতিতে যথেষ্ট কঠিন। গুজব আছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে আইপিএল ও ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সূচি সাংঘর্ষিক হওয়ায় সেটি হয়তো অনুষ্ঠিত হবে না।’

আইসিসিতে ভারতের প্রভাবের কারণেই সন্দেহটা প্রকাশ করেছেন ইনজামাম, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খুবই শক্তিশালী এবং আইসিসিতে তাদের নিয়ন্ত্রণ আছে। অস্ট্রেলিয়া যদি বলে দেয় তাদের পক্ষে এ মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব নয়, তাহলে সেটি খুব সহজেই গ্রহণ করে নেওয়া হবে। কিন্তু একই সময়ে ঘরোয়া কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজিত হলে প্রশ্ন উঠবে। ভারতীয় বোর্ড যদি ৮ দলের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারে তাহলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কেন প্রায় একইরকম টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবে না?’


করোনা মহামারির এ সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিতে বললেন ইনজামাম। আইসিসি ও অন্যান্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি লিগ বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। নইলে তরুণেরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নয় ঘরোয়া লিগগুলোয় বেশি মনোযোগী হয়ে পড়বে। আরও শুনেছি এশিয়া কাপের সূচিও নাকি কোন এক ইভেন্টের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আইসিসি, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও অন্যান্য বোর্ডের সবাই মিলে একসঙ্গে বসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে অগ্রাধিকারের বার্তা দেওয়া উচিত।’