মাঠে খেলোয়াড়দের হাতাহাতি দেখে খুশি কোচ মরিনহো

মাঠে হুগো লরিস ও সন হিউং-মিনের মধ্যে হাতাহাতি দেখে খুশি কোচ মরিনহো। ছবি: টুইটার
মাঠে হুগো লরিস ও সন হিউং-মিনের মধ্যে হাতাহাতি দেখে খুশি কোচ মরিনহো। ছবি: টুইটার

হাতাহাতি-মারামারি ফুটবলে হয় না যে এমন না। কিন্তু সেটা বেশির ভাগ সময়ই প্রতিপক্ষের সঙ্গে। মাঠে নিজের সতীর্থের সঙ্গে হাতাহাতি? এটা একটু অপরিচিত দৃশ্যই বটে। কিন্তু এমন ঘটনাই ঘটেছে কাল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টটেনহাম-এভারটন ম্যাচে। হাতাহাতি লেগেছে টটেনহামের দুই খেলোয়াড় হুগো লরিস ও সন হিউং-মিনের মধ্যে। যেটা হাতাহাতি দেখে আবার টটেনহাম কোচ হোসে মরিনহো বলেছেন, তিনি খুব খুশি!

কেন খুশি? তার আগে ঘটনাটা বলা যাক। বিরতির ঠিক আগে আগে সন হিউং-মিন একবার বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। কিন্তু সেটা আবার ফিরে পাওয়ার চেষ্টা না করেই গা ছাড়া ভাবে চলে যেতে থাকেন। এই সুযোগে প্রায় গোল করতে বসেছিলেন এভারটনের ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন। এটা দেখেই খেপে যান টটেনহাম অধিনায়ক ও গোল রক্ষক হুগো লরিস। বিরতির বাঁশি বাজার পর মাঠে ছেড়ে যাওয়ার সময় তিনি ছুটে আসেন সনের দিকে। দুজনের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে লরিস ধাক্কাও মারেন সনকে। সন পাল্টা লরিসের গায়ে হাত তুলতে গেলে দুজনকে আলাদা করে দেন তাদের দুই সতীর্থ জিওভানি লো সেলসো ও হ্যারি উইনকস।

ম্যাচের পর এ ঘটনা নিয়ে টটেনহাম কোচ হোসে মরিনহোর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, 'এটা খুব সুন্দর দৃশ্য। এটা সম্ভবত আমাদের বৈঠকের ফল।'

'বৈঠক' বলতে তিনি আগের ম্যাচে শেফিল্ডের কাছে ৩-১ গোলে হারের পর টিম মিটিংয়ের কথা বলেছেন। যেখানে তিনি খেলোয়াড়দের আরও বেশি জয়ের তাড়না দেখতে চেয়েছেন। একে অন্যকে উৎসাহিত করতে বলেছেন। মরিনহোর দাবি, সেটা দেখানোর তাড়না থেকেই লরিস আর সনের ওই হাতাহাতি। তিনি এতে দোষের কিছু দেখেন না।

টটেনহাম কোচ বলেছেন, 'ভালো ছেলেদের দল মৌসুম শেষে একটাই ট্রফি জেতে, সেটা হচ্ছে ফেয়ার প্লে ট্রফি। আমি ওটা কখনো জিতিনি, আমার ওই ট্রফির প্রতি কোনো আগ্রহ নেই।' আসলে টটেনহাম কোচ বোঝাতে চেয়েছেন, ম্যাচ জিততে হলে মাঠে এমন চরিত্রের খেলোয়াড় লাগবে।

ম্যাচটা অবশ্য ১-০ গোলে জিতেছে টটেনহাম। ম্যাচ শেষে আবার লরিস-সনকে হাসিমুখে কোলাকুলিও করতে দেখা গেছে।